লোকায়ন ডেস্ক:
গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ডজনখানেক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে দেইর আল-বালাহ শহরে একটি বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের বেইত ফুরিক শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১৪ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে।
এর আগে পশ্চিম তীরে ১৬ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশু এবং সাবেক বন্দিরাও রয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রিজনার্স অ্যান্ড এক্স-প্রিজনারস অ্যাফেয়ার্স ও প্রিজনার্স ক্লাবের কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীর থেকে মোট ৭ হাজার ৭৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত আল-আমাল এবং নাসের হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অপরদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে সপ্তাহব্যাপী অভিযান চালানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তীব্র গোলাগুলির কারণে মেডিকেল টিমের সদস্যরা সেখানে আটকা পড়েছেন। অপরদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা গাজার প্রধান আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৪৮০ যোদ্ধাকে আটক করেছে।
ইসরায়েল বলছে, গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলো ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। এই দাবির পক্ষে বেশ কিছু ভিডিও এবং ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। যদিও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং গাজার হাসপাতালগুলোর মেডিকেল স্টাফরা ইসরায়েলের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে তীব্র গোলাগুলি এবং বোমা হামলার মধ্যে আল-আমাল এবং নাসের হাসপাতালের আশেপাশে হঠাৎ একটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক প্রবেশ করায় তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কোনো হাসপাতালেই লোকজনকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেক মানুষকেই খোলা আকাশের নিচেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত ৭ অক্টোবর থেকে চালানো ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ২২৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৪ হাজার ৫১৮ জন। প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা।
সূত্র: জাগোনিউজ।