৫৭
শহর সংবাদদাতা: পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই শখ করে পালন শুরু করেন। এই শখে পালন করাই এখন বাণিজ্যিক রূপ ধারন করেছে। বর্তমানে তা আয়ের উৎসে পরিনত হয়েছে। বলছিলাম পাখি খামারি সাব্বির আহম্মদ এর কথা। তিনি বাড়িতে পাখি পালনে সফল হয়েছেন। এই খামার থেকে বছরে লাখ টাকা আয় করতে পারেন তিনি।এখন তার নিজের দোকান রয়েছে। জানা যায়, খামারি সাব্বির আহম্মেদ ঠাকুরগাঁওয়ের হাজি পাড়ার পৌর শহরের বাসিন্দা। তিনি শখ করে পাখি পালন শুরু করেন। বর্তমানে তা খামারে পরিনত হয়েছে।
খামারে তার এমন সফলতার কারণে এলাকায় তিনি “পাখি সাব্বির” নামে পরিচিত হয়েছেন। বর্তমানে তার খামারে প্রায় ৫০ জোড়া আরো অনেক বেশি পাখি রয়েছে। এর থেকে বছরে লাখ টাকা আয় করতে পারেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাব্বির আহম্মেদের দোকানে বিভিন্ন খাঁচায়,বাসা করে পাখিগুলো পালন করছেন। পাখির খাঁচাগুলো সুন্দর ও পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো। তার খামারে লাভবার্ড, কাকাতুয়া, ফিঞ্চ, দেশি-বিদেশি কবুতরসহ প্রজাতির অসংখ্য পাখি রয়েছে। কিছু উড়াউড়ি করছে, কিছু ঘর বানাচ্ছে।
পাখিপ্রেমী সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার পাখির প্রতি আলাদা টান ছিল। তখন আমি অষ্টাম শ্রেণীতে পরি। পাখির ভালোবাসা থেকেই শখের বশে পালন শুরু করি। তারপর অল্প পরিসরে খামার করা শুরু করি। শখে পালন এখন ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি ২০১৪ সালে বাড়িতে ২টি বাজরিগার পাখি এনে একটি খাঁচায় পালন করি। এইগুলো থেকে বাচ্চা জন্ম নিলে খামার করার পরিকল্পনা করি। তারপর ২০১৮ সালে জেলা থেকে আরো ১৮ জোড়া পাখি নিয়ে এসে সেট তৈরী করে পালন শুরু করি। পাখিগুলো ডিম দেওয়া শুরু করলে সংখ্যা বাড়তে থাকে।
সাব্বির আহম্মদ আরো বলেন, বর্তমানে আমার খামারে বিভিন্ন প্রজাতির ৫০ জোড়ার বেশি পাখি রয়েছে। দিন দিন এর সংখ্যা আরো বাড়ছে। পাখিগুলোকে খাবার হিসেবে প্রতিদিন কাউন, ভাত, খিচুড়ি, কুসুম দানা, কাঁচা বুট, সবজি দিয়ে থাকি। খামারটি করতে আমার ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন বছরে লাখ টাকা আয় করতে পারি। খামার আরো বড় করার পরিকল্পনা করছি।
পাখি কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আমরা শুনেছি সাব্বির আহম্মদ ভাই তার খামারে বাজরিগার পাখির পালন করেন। তাই কিনে নিতে এসেছি। তার পাখির খামারটি দেখে অনেক ভালো লাগল। অনেক রকমের পাখির সমাহার তার খামারে। তার থেকে পরামর্শ নিয়ে অনেকেই খামার করায় আগ্রহী হচ্ছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, সাব্বিরের আহম্মেদ খামার সম্পর্কে আমরা শুনেছি। পাখির খামারকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।