

এজেলার মাটি বেশ ভালো উর্বর হওয়ায় গমের আবাদ ভালো হয়। তবে বর্তমানে গমের তুলনায় অন্যান্য ফসলের ফলন এবং দাম বেশি পাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে দিন দিন গম চাষ কমিয়ে দিচ্ছেন তারা। ঝুঁকে পড়ছেন অন্যান্য ফসল চাষে।

কৃষকরা বলছেন, গমের তুলনায় ভূট্টা ও আলুতে ভালো ফলন এবং দাম বেশি পাওয়া যায়। তাই তারা গমের থেকে লাভজনক ফসলের আবাদ করছেন। এছাড়াও যেসব গম বেশি ঘন হয়ে গেছে সেসব গম কেটে বিক্রয় ও গরুকে খাওয়াচ্ছেন। তাতে ৫০ শতকের একবিঘা জমির গম ঘাস হিসেবে কেটে বিক্রয় করলে তারা ৬০-৭০ হাজার টাকা পাচ্ছেন। এর পর আবার ওই জমিতে তারা ভূট্টা বা বোরো ধান রোপন করতে পারচ্ছেন। এভাবে তারা বেশি লাভবান হচ্ছেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ঝোলঝলি গ্রামের গম চাষি ফজলু বলেন, গমের আবাদ কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, বর্তমানে সার কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। সেই তুলনায় গমের ফলন হয় না। আর অন্যান্য ফসল যেমন ভূট্টা গমের তুলনায় বেশি লাভজনক। তাই এইদিকের কৃষকরা বেশি করে ভূট্টা আবাদ করছেন। ৩৩ শতকের এক বিঘা জমিতে গম হয় ১০-১২ মণ। আবার গম কর্তন মৌসুমে গমের দাম থাকে কম। এছাড়াও অনেকে আবার গম ক্ষেত কেটে ঘাস হিসেবে বিক্রয় করে দিচ্ছেন। ওই জমিতে তারা চায়না ধান (বোরো ধান) লাগাচ্ছেন। তাতে লাভ হয় বেশি।
