লোকায়ন ডেস্ক: আগে বিভিন্ন সময় মেয়াদ বাড়ালেও এবার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন স্থায়ী করার চিন্তা করছে সরকার। ইতোমধ্যে দ্রুত বিচার আইন (সংশোধন)-২০২৪–এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সরকারের এমন চিন্তার পেছনে একাধিক যুক্তি তুলে ধরে বলেছেন, প্রতি বছর না বাড়িয়ে যদি এটাই আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, মেয়াদ শেষ হয়ে গেল কি না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই চিন্তা থেকে মুক্তি পাবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রুত বিচার আইনে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সময়সীমা আছে, এর মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। সেটা অনেক সময় কার্যকর হচ্ছে না। কিন্তু আমরা মনে করি, সময়সীমা নির্ধারণ না করলে; আপনারা দেখেছেন, বিচার বিভাগে যে পরিমাণ জট লেগে আছে, সেই জটের মধ্যে পড়ে গেলে অনেক দিন লম্বা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ ধরনের ক্রাইম যারা করছেন, ওখানে (আইনে) সংজ্ঞায়িত আছে, আমরা মনে করি এই ক্রাইমগুলো বিচার খুব তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত। তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত, আরও স্বাভাবিক করতে পারব। সেজন্য আইনটি করা হয়েছিল এবং প্রতিবারই (মেয়াদ) দুই বছর, এক বছর করে বাড়ানো হয়েছে।
বিরোধী দল অভিযোগ করছে, দ্রুত বিচার আইন তাদের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এটা হাস্যকর অভিযোগ। এখানে বিরোধীদল বলে কোনো আইন নেই যে, বিরোধী দলের তকমা যাদের লাগানো আছে তারা এই আইনের মধ্যে যাবে। এখানে যে অপরাধের সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত হবে, তাদেরকেই এই আইনের আওতায় নেওয়া হবে। যারা অবরোধ করবে, যানবাহন ভাঙচুর করবে, যারা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে; আপনারা দেখেছেন, কোনো একটা তুচ্ছ ঘটনা হলেই উত্তেজিত জনতা রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তুচ্ছ ঘটনা হলেই, ভাঙচুর শুরু করে দেয়। এজন্য এই আইনটি প্রয়োজন ছিল।
মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, কোনো গোষ্ঠী বা বিরোধীদলকে দমানোর জন্য এই আইন নয়। আইনটা হলো, বিচারটা যাতে দ্রুত হয় এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে নিরুৎসাহিত হয়। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই জন্য এই আইনটা করা হয়েছে।