Home » পীরগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগীতায় পাতিত্বের অভিযোগ

পীরগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগীতায় পাতিত্বের অভিযোগ

by নিউজ ডেস্ক

স্টাফ রিপোর্টার, পীরগঞ্জ: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগীতায় চুড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। মেধা বা শিল্প কর্মের বিবেচনায় নয়, মুখ দেখে পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগী নির্বাচনের ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিন ব্যাপী জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগীতায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগীতা সোমবার পীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজন করেন উপজেলা শিক্ষা দপ্তর। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা উপজেলা পর্যায়ে এ প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আসা প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে উপজেলা পর্যায়ে প্রত্যেক ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থান নির্বাচনে প্রত্যেক ইভেন্টের জন্য অতিথি শিক্ষক সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে বিচারক মন্ডলীর প্যানেল নির্ধারন করে দেন উপজেলা শিক্ষা দপ্তর। অভিযোগ উঠেছে, বিচারক মন্ডলীর প্যানেল গঠনে অনিয়ম করা হয়েছে। প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহনকারী প্রতিযোগীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট ইভেন্টের বিচারক করা হয়েছে। এতে ঐসব বিচারক নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে তার বিদ্যালয়ের প্রতিযোগীকে সর্বোচ্চ নস্বর এবং অন্য বিদ্যালয়ের প্রতিযোগীরা অনেক ভাল করার পরও কম নম্বর দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে পক্ষ পাতিত্বের কারণে অনেক ভালো ভালো প্রতিযোগী পুরস্কারের জন্য চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হতে পারেননি। বিচারক প্যানেলের অতিথি শিক্ষকরা উপস্থিত না থাকায় সংশ্লিষ্টরা এ সুযোগ পেয়েছেন বলে সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
সুত্র জানায়, কবিতা আবৃতি ও উপস্থিত বক্তৃতার খ গ্রুপের বিচারক প্যানেলে রাখা হয় আকাসিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারিকে। অথচ তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঐ ইভেন্টে অংশ নেয় এবং প্রথম হয়। এদিকে নৃত্য খ গ্রুপ এর প্রতিযোগীতায় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ভাল করার পরেও নম্বর প্রদানে পক্ষ পাতিত্বের কারণে কাংখিত স্থান অর্জন করতে পারেনি। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি ইভেন্টের কিছু কিছু বিচারকের বিতর্কিত ভুমিকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে উপস্থিত শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে। তারা এর প্রতিবাদ জানান। এ নিয়ে হট্টোগোল হয়। শেষে নিজ নিজ সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শান্ত হন অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুল ইসলাম বলেন, তার কাছে এ ধরণের কোন অভিযোগ আসেনি। শান্তিপূর্ন ভাবেই উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগীতা সম্পন্ন হয়েছে।

You may also like