Home » পীরগঞ্জে বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষকের মধ্যে ১৩ জনই অনুস্থিত

পীরগঞ্জে বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষকের মধ্যে ১৩ জনই অনুস্থিত

by নিউজ ডেস্ক

স্টাফ রিপোর্টার, পীরগঞ্জ ঃ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহেন্দ্র রায় ও সহকারী শিক্ষক রাশিদা খাতুন স্কুল খুলে বসে আছেন। আর কোন শিক্ষক উপস্থিন নাই। শিক্ষার্থীও নাই। কর্মরাচীরা যে যার মত আয়েশে বসে আছেন।প্রধান শিক্ষক ছুটি নিয়ে ঠাকুরগাঁয়ে গেছেন। ১৩ জন সহকারী শিক্ষকই অনুপস্থিত। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের চিত্র এটি। গত ৯ জুন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে গনমাধ্যম কর্মীরা এমনই চিত্র দেখতে পান। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমের বক্তব্য, ছুটি নিয়ে বিদ্যালয়ের কাজে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাকি শিক্ষকদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মখলেসুর রহমান চৌধুরী মঙ্গলবার বিকালে বলেন, বিনা ছুটিতে যে সব শিক্ষক অনুস্থিত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিশৃংখলা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ সহ নানা বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মাঝে বিরোধ লেগেই আছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্যালয়ে ১৪ শিক্ষক গত জানুয়ারী মাসের শুরুর দিকে জেলা প্রশাসকে কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ক্লাস বর্জন কর্মসীচীও পালন করেন সহকারী শিক্ষকরা। নানা কারণে বিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষকের বেতন বন্ধও রয়েছে। সব মিলে বিদ্যালয়টিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয় ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে শিক্ষকদের। তারা বিদ্যালয়ে না গিয়ে যে যার মত করে অন্য কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শিক্ষার্থীদের পড়া শুনা লাটে উঠেছে। শিক্ষকরা স্কুল করেন না এমন অভিযোগে গত ৯ জুন সরে জমিন অবস্থা দেখার জন্য বিদ্যালয়ে যান কয়েক জন গনমাধ্যম কর্মী। তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে এমনই চিত্র পান। গনমাধ্যম কর্মী লিমন সরকার জানান, স্কুলে গিয়ে শুধু দুইজন শিক্ষককে পাওয়া যায়। প্রধান শিক্ষক ছুটি নিয়ে ডিসি অফিস গেছেন। ১৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৩ জন শিক্ষকই অনুপস্থিত। কয়েক জন শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছিল। শিক্ষকরা না আসায় কিছুক্ষন বসে থেকে তারা বাড়ি চলে গেছে। ঐ গনমাধ্যম কর্মী আরো জানান, এটা ঐ স্কুলের প্রায় নিত্য দিনের ঘটনা। শিক্ষকরা ঠিক মত স্কুলে আসেন না। দুপুরের আগে আগে আসলেও স্বাক্ষর করে চলে যান।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলম বলেন, সহকারী শিক্ষদের নিয়ে চরম অশান্তিতে আছেন তিনি। কেউ কারো কথা শুনেন না। আমরা সব কিছু ঠিক ঠাক করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ৪/৫ জন শিক্ষকের অতি বাড়া বাড়ির কারণে পরিবেশটা ঠিক করা যাচ্ছে না। সেদিন ছুটি নিয়ে স্কুলের কাজে ডিসি আফিসে গিয়েছিলেন তিনি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মখলেসুর রহমান চৌধুরী বলেন, কয়েক জন অতি উৎসাহী শিক্ষক আছেন। তারা কোন নিয়ম নীতি মানতে চান না। গায়ের জোরে সব পার করতে চান। আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছি, যারা কারণ ছাড়াই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল্লাহ বলেন, বিপিবি স্কুলের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা চলছে। তবে নিয়ম বহির্ভত ভাবে কোন শিক্ষক স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে পারবেন। তারা বিষয়টি দেখছেন।।

 

You may also like