Home » বিক্রির পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল মজুদ পীরগঞ্জে থামানো যাচ্ছে না বালু খেঁকোদের

বিক্রির পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল মজুদ পীরগঞ্জে থামানো যাচ্ছে না বালু খেঁকোদের

by নিউজ ডেস্ক

স্টাফ রিপোর্টার, পীরগঞ্জ: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার মাশালডাঙ্গী ব্রীজ এলাকা সহ টাঙ্গন নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন অসাধু বালু খেঁকোরা। তারা অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার পাশাপাশি নদীর পাড়েই বিশাল বিশাল বালু স্তুপ গড়ে তুলেছেন। বর্ষা মৌসুমে এসব বালু চড়া দামে বিক্রি করবেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেও থামানো যাচ্ছে না। এদিকে অপরিকল্পিত ভাবে ভালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলার মাশাল ডাঙ্গী ব্রীজের অদূরে উত্তর পার্শে^ মা ালা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গন নদীতে ট্রাক্টর নামিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদী থেকে কয়েক হাজার ট্রলি বালু উত্তোলন করে নদীর পাড়ের উচু জায়গায় বিশাল বিশাল কয়েকটি স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ওই এলাকার বেশ কয়েকজনের একটি চক্র বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করার পাশাপাশি বালু মজুদ করেছেন। বর্তমানে নদীতে পানি কম থাকায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করে প্রতি ট্রলি বালু দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মজুদ করা বালু বর্ষা মৌসুমে আরো চড়া দামে বিক্রি করা হবে বলে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানো গেছে।
মাল া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, উপজেলা ভূমি অফিসের চেইন ম্যান কুদ্দুস ও ড্রাইভার বাপ্পীকে হাত করে বালু খেঁকোরা টাঙন ব্রীজের আশপাশ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। এতে ওই এলাকায় নদীর ভাঙনের পাশাপাশি মাশালডাঙ্গী ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান দিয়েও তাদের আটকাতে পারছেন না।


এছাড়াও টাঙন নদীর সাগুনী, বাজারদেহা, কোষারণীগঞ্জ, নাকাটি, কাস্তোর, গেি ডোবা, জাবরহাট, আজলাবাদ ও বৈরচুনা সহ বেশ কয়েকটি ঘাট থেকে প্রতিদিন শত শত গাড়ি বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার পাশাপাশি মজুদও করছেন বালু খেকোরা। এতে একদিকে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছেন অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছেন নদী পাড়ের মানুষ।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ঠেকাতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক দিনে টাঙ্গন নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি ট্রলি আটক করে জরিমানা করা হয়েছে। দুটি ট্রলি এখনও উপজেলা পরিষদে আটক আছে। অবৈধ ভাবে মজুদ করা বালু প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

You may also like