Home » হরিপুরে অবৈধ করাত কলের রমরমা ব্যাবসা

হরিপুরে অবৈধ করাত কলের রমরমা ব্যাবসা

by নিউজ ডেস্ক

আব্দুর রশিদ, হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ ভাবে চলছে করাত কলের রমরমা ব্যবসা এতে দেখার কেই নাই। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাকা রাস্তার ধারে গড়ে উঠেছে এসব ছমিল বা করাত কললের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো। বনবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের দেখ ভাল ও তদারকীর না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে ছলছে এসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অপর দিকে উজার হচ্ছে বন । এর প্রভাব পরছে জলবাযুর উপর ,ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ।

জানা যায় বন বিভাগের লাইসেন্স দেওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র নিয়ে স্থাপন করতে হয় করাত কল । কিন্ত হরিপুর উপজেলায় ৩২টি করাত কলের মধ্যে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি রয়েছে মাত্র ৩টির। বাকি ২৯টি করাত কল পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছারাই দীর্ঘদিন ধরে জমজমাট ভাবে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে দেখার কেউ নেই। করাত কল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২এর আইনে বলা হয়েছে ,সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থকেন্দ্র, ধর্ময় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক,উদ্যান এবং জন স্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিঘœ সৃষ্ঠিকরে এই রুপ কোন স্থানের ন্যূনতম ২০০মিটারের মধ্যে করাত কল স্থাপন করা য়াবে না। বিধি মালায় আরও বলা আছে, আইন কার্য্যকর হওয়ার আগে কোনো প্রতিষ্ঠান বিধিতে নিষিদ্ধ কোনো স্থানে করাত কল স্থাপন হয়ে থাকতে পারে । সে ক্ষেত্রে আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ওইসব মালিক কে করাত কল বন্ধকরে দিতে হবে। য়দি না করে তা হলে দাযিত্ব প্রাপ্ত কমর্কতা ওইসব করাত কল বন্ধের জন্য আইনানুগ ব্যাবস্থ গ্রহন করতে পারবের। আইনে এত কিছু করার ক্ষমতা থাকলেও কমর্কতার অভাবে আজোবধি তাদের বিরূদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়নি। মাঝে মধে দুই একটি করাত কল মালিককে ভ্রাম্যমান আদালত এর মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও বেশির ভাগ রয়েগেছে ধরা ছোয়ার বাইরে। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় হরিপুর উপজেলা সদর থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পাকা রাস্তার পাশ্বে, ব্রাক অফিসের সামনে ,বটতলী মহিলা কলেজের পাশ্বে, বজরম তলিতে, কাঠালডাঙ্গী বাজার এলাকায় ও মাদ্রাসার পাশ্বে, চৌরঙ্গী বাজার এলাকার বালিকা বিদ্ব্যালয়ের পাশ্বে, কামার পুকুর, যামুন, বনগাও বাজারও ধীরগঞ্ছ বাজার, এই সকল গুরুত্ব পূন্য স্থান গুলোতে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এখানকার বাসিন্দারা বলেন ,করাত কলের কাঠের গুড়া উরে তাদের বাড়ী ঘরে পরে । কিন্তু র্তা কিছুই বলতে পারেনা। অন্য দিকে আইনের প্রয়োগ না থাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধা ৬ টার আগে-পরে কল চালানোর ওপর নিষেধাঞ্জা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। অনেক গভির রাত পযন্ত চাল ুরাখছে এসব করাত কল। এবিষয়ে হরিপুর উপজেলার করাত কল সমিতির সভাপতি ভাসানি বলেন,এ উপজেলায় করাত কল রয়েছে ৩২টি এর মধ্যে ৩টি বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স প্রাপ্ত আর বাকি গুলো অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন । হরিপুর উপজেলা বন বিভাগের ভার প্রাপ্ত অফিসার শাহজাহান আলী বলেন, যে সকল করাত কলের বৈধ কাগজ পত্র নেই তাদের বিষয়ে উদ্ধোতন কমর্কতা কে জানানো হয়েছে ।

You may also like