ক্রীড়া ডেস্ক || পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ অনায়াসে জিতে নিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। তাতে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দুই দলের সামনেই ছিল দুটি লক্ষ্যের। নিউ জিল্যান্ডের জন্য সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার, পাকিস্তানের জন্য সিরিজ বাঁচানোর। এমন ম্যাচে ফিন অ্যালেনের বিশ্বরেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ৪৫ রানের জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অ্যালেনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। রেকর্ডের মালা গেঁথে ৬২ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন ২৪ বছর বয়সী অ্যালেন। জবাব দিতে নেমে বাবর আজমের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান পর্যন্ত যেতে পারে শাহিন আফ্রিদির দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চড়াও হন অ্যালেন। তৃতীয় ওভারেই শাহিনকে টানা দুটি বিশাল ছক্কায় আছড়ে ফেলেন মাঠের বাইরে। তবে অন্য প্রান্তের মন্থর ব্যাটিংয়ে প্রথম চার ওভারে কিউইদের রান ছিল ২৯। এর মধ্যেই ওপেনার ডেভন কনওয়েকে বিদায় করেন হারিস রউফ।
পরের ওভারে রউফকে তিনটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন অ্যালেন। এরপর অ্যালেনের তান্ডব চলতে থাকে। ২৬ বলে ফিফটি করার পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন আরও। রউফের আরেক ওভারে মারেন তিনটি ছক্কা, মোহাম্মদ নাওয়াজের ওভারে দুটি। আফ্রিদিকে চার ও ছক্কা মেরে ৪৮ বলে তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
দ্বিতীয় উইকেটে টিম সাইফার্টের সঙ্গে অ্যালেনের জুটিতে ১২৫ রান আসে কেবল ৬১ বলেই। তাতে সাইফার্টের অবদান ২৩ বলে ৩১। এরপর রান তুলতে গিয়ে দ্রুত উইকেট হারতে থাকে নিউ জিল্যান্ড। শেষ দুই ওভারে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি তারা।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ওপেনিংয়ে নেমে ১৩ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন সাইম আইয়ুব। মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ২০ বলে ২৪। বাবর আজম নিজের মতো খেললেও আরেক প্রান্তের ব্যর্থতায় গড়ে ওঠেনি কার্যকর কোনো জুটি। কোনো জুটিই ছাড়াতে পারেনি ৪০ রান। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন বাবর।
শেষ দিকে নাওয়াজের ১৫ বলে ২৮ ও আফ্রিদির ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংসে হারের ব্যবধানটাই শুধু কমেছে। পাকিস্তানের সামনে পরের দুই ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে মান রক্ষার। সিরিজের পরের দুই ম্যাচ হবে শুক্র ও রোববার। ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চ।