স্টাফ রিপোর্টার : ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ২৮ শে অক্টোবর যে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ একত্রিত হয়েছিল তারা পুরো পরিকল্পিতভাবে আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য তারা সেদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে আমাদের উপর গুলি বর্ষন করে আমাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে । তারা এই কয়েক বছরে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। গুম করেছে। প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের উপর মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কিভাবে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অন্যায় ভাবে অসাংবিধানিক ভাবে ব্যবহার করে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছর পরেও আমাদেরকে এখন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা এখন কৌশল পরিবর্তন করেছে। তারা এখন ভিন্নভাবে ছদ্মবেশে আবার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। এই অবৈধ সরকার যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি যাদের কোন ম্যান্টেড নাই তাদের যদি ক্ষমতায় আরো থাকতে দেয়া হয় সেটা ভয়াবহেে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইতিমধ্যে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাই।
আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না ।আমরা ভোটের অধিকার, অন্নের অধিকার, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার কথা বলার অধিকার এগুলো ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আন্দোলন করছি।
তিনি আরো বলেন সাংবাদিকরা সত্য কথা লিখতে পারেনা। কেউ কথা বলতে পারে না।
আন্দোলনের মাধ্যমে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এদেরকে পরাজিত করব। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন করে। তাই আমরা জোর দিয়ে বলতে পারি সংগঠনগুলোকে আরো শক্তিশালী করে যদি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি নিঃসন্দেহে তারা চলে যেতে বাধ্য হবে। বিএনপির জন্য নয় পুরো জাতির জন্য এটা আজকে প্রয়োজন। আজকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তাই অবশ্যই বিএনপিকে সেই নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাব মাঠে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সদ্যপ্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের স্মরণসভায় অংশ নেন। এরপরে গত আন্দোলনে যারা কারা বরণ করেছিলেন সেসব নেতাকর্মীকে ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেন। এ সময় জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।