স্টাফ রিপোর্টার: আবারও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুশান্ত কুমার দাস (৬৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ মে) সকাল বেলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হেল্পডেক্স রুমের কাঁচের গ্লাস ভাংচুর করেন শুশান্ত। এসময় হেল্পডেক্সে কর্মরতরা ও পুলিশ তাকে আটক করে।
আটক ওই ব্যক্তি সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর (মথুরাপুর) গ্রামের মৃত প্রবীর চন্দ্র দাসের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সকালে ওই ব্যক্তি এসে তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে লোহার রড বের করে ক্ষিপ্ত ও রাগান্বিত চেহেরায় রড দিয়ে কাঁচে গ্লাস ভাংচুর করতে থাকেন আর মুখে বলছিলেন, হেল্পডেক্স থেকে লাভ কি? যদি এখানে কোন কাজ না হয়। তিনি বলে একটি কাজের জন্য দীর্ঘ দিন হেল্পডেক্স ঘুরছিলেন কিন্তু তার কাজ হয়নি। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে এমনটি করেছেন হয়তো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি এখানে কাজের জন্য হ্যাল্পডেক্সে ঘুরছেন বা তার কাজ হয়নি, খোঁজ নিয়ে এমন কোন বিষয় পাওয়া যায়নি। গতকালও তিনি আমাদের এখানে এসে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি জেনারেল) এর সাথে কথা বলেছেন। আজকে তিনি এসে হ্যাল্পডেক্সে কারও সাথে কোন কথাও বলেনি ও কারও কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই তিনি হঠাৎ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এসময় সেখানে কর্মরতরা তাকে ঠেকায় ও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ওই ব্যক্তি তাহলে কেন ভাংচুর করলেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এখনো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। আগে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে ও পরে তার সাথে এবিষয়ে কথা বলা হবে।
ওসি এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গতবছর শনিবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ২য় তলার নির্মিত অদম্য মুজিব কর্ণারসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষের গ্লাস ভাংচুর করে নাসির। এ সময় তাকে বাধা দিলে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মামুনুর রশিদ গুরুতর এবং নৈশপ্রহরী হরকান্ত বর্মণ আহত হন। পরে তাকে আটক করে পুলিশ।