প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৫:৩৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩, ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের জন্য পাইলটের ভুলকে দায়ী করলো নেপাল সরকার
পাইলট ভুল করে বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দিলে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রায় এক বছর আগের বিমান বিধ্বস্তের কারণ জানিয়ে পাইলটের ভুলকে দায়ী করেছে নেপালের সরকার নিযুক্ত তদন্ত কমিটি। নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের সেই বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছিলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও তদন্তকারী প্যানেলের সদস্য দীপক প্রসাদ বাস্তোলা বলেন, সচেতনতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমান চালানোর অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছিল। দুর্ঘটনার জন্য ওই অসচেতন পাইলটই দায়ী।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি পোখরাতে অবতরণের ঠিক আগ মুহূর্তে বিধ্বস্ত হয়েছিল এটিআর-৭২ বিমানটি। নেপালের ৩০ বছরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ছিল। সেই বিমানে থাকা ৭২ জনের মধ্যে সবাই মারা গেছেন। কেউ বেচে ফিরতে পারেননি। নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশুসহ ১৫ জন বিদেশি ছিলেন।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর বিমান দুর্ঘটনা। এর আগে কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়েছিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স এয়ারবাস এ৩০০। সেই বিমান দুর্ঘটনায় ১৬৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
নেপালে ২০০০ সালের পর থেকে বিমান বা উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় প্রায় ৩৫০ জন মারা গেছেন। এভারেস্টসহ বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতের মধ্যে আটটিই নেপালে অবস্থিত। তাই যেকোনও সময় আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে বিপজ্জনক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অতিমাত্রায় বিমান দুর্ঘটনার উদ্বেগ জানিয়ে, নিরাপত্তার জন্য ২০১৩ সাল থেকে নেপালি এয়ারলাইন্সকে তার আকাশসীমা থেকে নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
স্বত্ব © ২০২৪ দৈনিক লোকায়ন