লোকায়ন রিপোর্ট॥ দুইটি কিডনি প্রায় ড্যামেজ হয়ে যাওয়ায় সোহানুর রহমান (২০)কে সপ্তাহে দুইদিন ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে ফলে সময় যতো যাচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি ততই বাড়ছে। টাকার অভাবে একমাত্র সন্তানের ডায়ালাইসিস ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছেন না তাঁর অসহায় মা বাবা। টকবকে যুবক সোহানুরের জীবন বাঁচাতে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।
ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ওএমএস ডিলার নুরুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমান সম্প্রতি হঠাৎ ভিশন ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক কিডনি বিশেষজ্ঞ মোফাস্বের আলমের তত্বাবধানে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সোহানুরের দুইটি কিডনি প্রায় ড্যামেজ হয়ে গেছে বলে জানানো হয় এবং চিকিৎসক সোহানুরের কিডনি দ্রুত প্রতিস্থাপনসহ উচ্চতর চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থকরি না থাকায় সেখানে তাঁর চিকিৎসা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন সোহানুরের মা বাবা। তবে অসুস্থ হয়েও সোহানুর গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, যদিও সোহানুরের কিডনি প্রতিস্থাপন করতে দেরি হচ্ছে তবে দ্রুত তাঁর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন এবং বর্তমানে সপ্তাহে দুইদিন রংপুরে গিয়ে কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে এবং ডায়ালাইসিসের খরচ চালানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ছে। তবে এ ক্ষেত্রে তার কিডনি নিয়মিত ডায়ালাইসিস কিংবা পরিবর্তন করার কোনও বিকল্প নেই। এতে প্রায় পনেরো লাখ টাকা ব্যয় হতে পারে।
কান্না জড়িত কন্ঠে সোহানুরের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ওএমএস’এর ডিলারশীপ চালিয়ে কোনরকম সংসার চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার একমাত্র সন্তান অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসা চালাতে গিয়ে আমার যা সহায় সম্বল ছিল তা ইতিমধ্যে প্রায় শেষ করে আমি এখন নিঃস্ব। চিকিৎসক যে পরামর্শ দিয়েছেন তাতে কিডনি পরিবর্তন করা দূরের কথা বরং সপ্তাহে দুইদিন কিডনি ডায়ালাইসিস করার সামর্থ আমার হচ্ছে না। আমি এখন ছেলের এত কষ্ট সহ্য করতে পারছিনা। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক এবং একসময় আমি জেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি পদে থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চালাতে গিয়ে ছয় মাস জেল খেটেছি। আমি এই সময় আমার আদরের ছেলের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার খরচ জোগানো আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। আমি আমার একমাত্র ছেলের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীর কাছে বিনীত অনুরোধ করে বলছি, আপনারা সমাজের বিত্তবানরা যদি আমার ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে আমার ছেলেকে বাঁচতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
সহায়তা পাঠানো যাবে: মো. নুরুল ইসলাম, মোবাইলে বিকাস নম্বর ০১৭২২৪৪৭৩৯৯।
একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচাতে মা বাবার আকুতি
৬৯