লোকায়ন ডেস্ক:
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়া বিমান হামলা চালানোয় সতর্কতা জারি করেছে ইউক্রেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে পোল্যান্ড জানিয়েছে, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী অঞ্চল লভিভকে লক্ষ্য করে রাশিয়া হামলা চালানোর পর পোল্যান্ডের আকাশসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারাও তাদের বিমানবাহিনীকে সক্রিয় করেছে।
স্থানীয় সময় রোববার (২৪ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে কিয়েভে হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো বলেন, রাশিয়ার ডজনখানেক মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী রাজধানী কিয়েভ এবং এর আশেপাশে আঘাত হানা ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি বলেন, এসব হামলা থেকে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
লভিভের মেয়র অ্যান্ড্রি স্যাডোভি এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, সরাসরি ওই শহরে কোনো ড্রোন আঘাত হানতে পারেনি। তিনি বলেন, ওই অঞ্চল লক্ষ্য করে প্রায় ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাতটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
ইউক্রেন এর আগে দেশব্যাপী সতর্কতা জারি করে রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমান থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। অপরদিকে পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ড (আরএসজেড) জানিয়েছে, পোলিশ এবং এর মিত্র যুদ্ধবিমানগুলো সক্রিয় রয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবারও রাশিয়া কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে ইউক্রেনের একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং ১০ লাখ ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তবে রোববারের হামলা সম্পর্কে মস্কো এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে রাশিয়ার সামারা অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। গভর্নর দিমিত্রি আজারভ টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, আঞ্চলিক তেল শোধনাগারে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় কুইভিশেভ তেল শোধনাগারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রাশিয়ার সামারা অঞ্চলের বড় তেল শোধনাগার এটি। যেটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে রোসনেফ্ট। বছরে সাত মিলিয়ন টন তেল উৎপাদন করতে পারে এটি।
তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে অধিকাংশ ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেন। এতে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে।