Home » কোচের অভিজ্ঞতা নয়, ফুটবলাররাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রক!

কোচের অভিজ্ঞতা নয়, ফুটবলাররাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রক!

by নিউজ ডেস্ক

লোকায়ন ডেস্ক
আগামীকাল থেকে শুরু সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ অংশগ্রহণ করছে। চার দলের কোচের মধ্যে বাংলাদেশের সাইফুল বারী টিটুই সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ।

সাইফুল বারী টিটু জাতীয় দলে খেলেছেন। খেলা ছাড়ার পর থেকেই কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। কখনো ক্লাবে কখনো জাতীয় দলে কোচিং করিয়েছেন। তিনি জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের কোচ ছিলেন একাধিকবার। নারী ফুটবলেও সিনিয়র দলের কোচ ছিলেন। এবার দায়িত্ব জুনিয়র টুর্নামেন্টে। এই টুর্নামেন্টে অন্য তিন প্রতিপক্ষ কোচের অভিজ্ঞতা তার ধারের কাছেও নেই।

ফুটবলাররা মাঠে খেললেও কোচরা ডাগ আউট থেকে খেলা পরিবর্তনে ভূমিকা রাখেন। কোচদের সেই খেলায় বাংলাদেশের কোচ খানিকটা এগিয়ে। এতে বাংলাদেশ অন্য দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘হ্যা এটা ঠিক। খেলোয়াড় পরিবর্তন, ম্যাচের অবস্থা বুঝে কৌশল নির্ধারণে কোচের ভূমিকা থাকে। হয়তো আমার অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগতে পারে। তবে কাজটা মূলত ফুটবলারদের। তাদের খেলার উপরই নির্ভর করে কোচ সফল হবে কিনা।’

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ গত আসরের চ্যাম্পিয়ন। সেই আসরে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ছোটন বাফুফের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় দায়িত্ব ছেড়েছেন। এরপর থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন হিসেবে কাজ করছেন সাইফুল বারী টিটু। সিনিয়র নারী দলের পর এখন জুনিয়র দলের কোচ। এই টুর্নামেন্ট শিরোপা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ কিনা এই প্রসঙ্গে সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। আমরা এ দেশের নাগরিক সে হিসেবে আমাদের দেশকে কিছু দেয়া দরকার। আমরা রোহিঙ্গা না। দেশ আমাদের থাকতে দিয়েছে। দেশকে আমাদের কিছু দিতে হবে। এটাই খেলোয়াড়দের মনে রাখলেই হবে।’

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার তিন দিন আগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের কথাই পুনরাবৃত্তি করেছেনদ ‘প্রথম ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের বিপক্ষে জিতে আমরা ফাইনালের পথে থাকতে চাই।’ বাংলাদেশ নারী ফুটবলাররা সাধারণত বাফুফে ভবনে থেকেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। সাফ, এএফসি অর্থ দিলেও বাফুফে ফুটবলারদের ভবনেই রাখত। এবার নারী ফুটবলারদের অন্য দলগুলোর সঙ্গে হোটেলে থাকছেন। বাফুফে কর্তারা সব সময় বলতেন, ‘নারী ফুটবলাররা হোটেলের পরিবর্তে ভবনেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্য।’ সেই ভবন ছেড়ে এখন পাঁচ তারকা হোটেলে থাকা নিয়ে আফিদা বললেন,’আমরা এখানেও ভালো রয়েছি। সব দল একসঙ্গে রয়েছি। সুইমিংপুলে আড্ডা দিয়েছি গতকাল।’

You may also like