লোকায়ন ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। সেখানে গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা এবং বুধবার সকালের মধ্যেই ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। ফলে সেখানে নিহতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর এএফপি, আল জাজিরা।
এদিকে নতুন করে আরও প্রায় ১১০ জন আহত হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত গাজায় আহত হয়েছে ৭০ হাজার ৩২৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান এবং আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা এবং অপুষ্টিতে ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্য শিশুদের অবস্থাও গুরুতর। ওই দুই হাসপাতালে আরও তিন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৩৮ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া গিভাতি ব্রিগেডের ২৫ বছর বয়সী এক মেজর এবং ২৪ বছর বয়সী এক ক্যাপ্টেন নিহত হয়েছেন।
ওই একই ইউনিটের আরও সাত সেনা সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। তাদের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য তাদেরকে গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক পোস্টে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় স্থল অভিযান শুরু পর থেকে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মোট ২৩৮ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪০৮ জন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।