ফিরোজ আমিন সরকার ॥ ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারদিক, তার উপর হিমেল হাওয়া। শীতের তীব্রতা প্রকট হওয়ায় উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা। এঅবস্থায় বীজতলা রক্ষায় বিভিন্ন ছত্রাকনাশক ছিটিয়েও তেমন কোন লাভ হচ্ছেনা। এমন বৈরী আবহাওয়া চলতে থাকলে চারা সংকটে ব্যাহত হতে পারে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা, এতে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষকরা। তবে সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দিচ্ছে বলে দাবি জেলা কৃষি বিভাগের।
ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েক দিনের টানা কনকনে ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশার কারণে কোল্ড ইনজুরিতে নষ্ট হতে বসেছে বোরো ধানের বীজতলা। শীতের প্রকোপ থেকে বীজতলা রক্ষায় কেউ কেউ পলিথিন ও খড় দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন। অনেকে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও আশানরুপ কোনো ফল পাচ্ছেন না।
কৃষি বিভাগ তথ্য মতে চলতিবছর ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা বপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে এবং এর বিপরীতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩২ মেট্রিকটন ধান। গত এক সপ্তাহে গড় তাপমাত্রা ছিলো সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিন্ম ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সদর উপজেলার আকচা গ্রামের কৃষক মঙ্গলু বর্মন, হরিদাশ রায় অভিযোগ করে বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বীজতলা নষ্ট হতে বসেছে। বীজতলার চারা হলুদ ও ফ্যাকাসে রঙ ধারণ করেছে এবং কিছু কিছু চারাগাছ শীতের প্রকোপে মারা গেছে। কনকনে ঠান্ডার কারণে ব্যাহত হচ্ছে বোরচারা রোপনে ক্ষেত প্রস্তুতের কাজ। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। দ্রুত বীজতলা রক্ষায় করণীয় বিষয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ চান কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপ-পরিচালক, সিরাজুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বীজতলার কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কোন কারণে চলমান শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘ হলে কৃষকদের চারা রোপন নিষেধ করা হয়। সমস্যা সমাধানে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া হচ্ছে।