দুপুরে সদর থানায় অবস্থান করার সময় মৃত ওই নারীর প্রতিবেশী ও স্বজনরা বলেন, দায়ন ঋষির ছেলে শিশু রাজেন ও প্রতিবেশী সঞ্জিত মিলে নাকি একই এলাকার আমজাদ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে থেকে ৩ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করেছে। তাই গতকাল মঙ্গলবার সকালে চুরি করার সন্দেহে রাজেনকে বাড়িতে থেকে তুলে নিয়ে যান আমজাদ সহ তার সহযোগীরা। যাওয়ার পরে তদের নির্যাতন করে। পরে রাতে তার মাকেসহ নাকি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকালে বাড়ির পাশে একটি লিচু গাছে দায়ন ঋষিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, যারা তাদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল তারাই ওই গৃহবধূকে হত্যা করার পর হয়তো গলায় ফাঁস গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা হত্যাকারীদের কঠোর বিচারের দাবিতে থানায় এসেছি। যারা এই কান্ড ঘটিয়ে আমরা তাদের ফাঁসি চাই।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদার বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আমজাদ সহ ৪-৫ জন ব্যক্তি আমার কাছে আসেন। বিষুর ছেলে নাকি আমজাদের বাড়িতে ঢুকে টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করার সন্দেহে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। মারপিটের একপর্যায়ে ওই ছেলে চুরি করার কথা স্বীকার করে ও চুরির টাকা তার মা দায়ন ঋষির আছে বলেন জানান রাজেন। তাই দায়ন ঋষিকেও তুলে নিয়ে যায় ও মারপিট করে তারা। তাই আমি চুরির মাল পাওয়া গেলে মারপিট না করে তাদের থানায় দিতে বলি। কিন্তু তারা সেটা না করে আরও মারপিট করে। ছেলেটির বাবা সেখানে গেলে তাকেও মারেন তারা। পরে সন্ধ্যায় টাকা উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় ছেলেপেলেদের হতে ওদের তুলেদেন তাদের। এর পর আর ওই মহিলাকে খোঁজ পাওয়া যায় নি। পরে আজকে সকালে জানতে পারি তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের স্বামী বিষু ঋষি অভিযোগ করে বলেন, যারা আমার ছেলে ও স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তারাই তাকে মারে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে ও ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানান যাবে মৃত্যুর কারণ এবং নিহতের পরিবার অভিযোগ দিলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।