আন্তর্জাতিক ডেস্ক || যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি জর্ডানে মার্কিন বাহিনীর ওপর মারাত্মক ড্রোন হামলার জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত বা বৃহত্তর যুদ্ধ চান না। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন এ কথা বলেন। খবর বিবিসি।
গত রোববার জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়ার সীমান্তের কাছে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত হন। আহত হন আরও ৩৪ জন। এ হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জর্ডানে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার জবাব কী হবে, তা নির্ধারণে গতকাল হোয়াইট হাউসে শীর্ষ উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। এরপর এয়ারফোর্স-ওয়ান উড়োজাহাজে ফ্লোরিডার উদ্দেশে রওনা করেন তিনি।
কীভাবে হামলার জবাব দেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘হ্যাঁ’। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
বাইডেন আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে বড় আকারে যুদ্ধ বাধানোর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আমি সে রকম কিছু চাইছি না।’
এছাড়াও এ হামলার জন্য ইরানকে দোষারোপ করা উচিত কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে বাইডেন বলেন, যারা এ হামলা করেছে ইরান তাদের অস্ত্র সরবরাহ করেছে, এদিক থেকে আমি তাদের এ হামলার জন্য দায়ী মনে করি।
যদিও ইরান জর্ডানের এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা আগেও স্পষ্টভাবে বলেছি, এই অঞ্চলের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার জবাব দিচ্ছে। তারা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের আজ্ঞাবহ নয়, তারা ইরান থেকে আদেশও নেয় না। এই গোষ্ঠীগুলো তাদের নিজস্ব নীতি ও অগ্রাধিকারের পাশাপাশি তাদের দেশ ও জনগণের স্বার্থের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়, কাজ করে।’
বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ইরান-মিত্রদের ঘাঁটি এবং কমান্ডারদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলাসহ বেশ কয়েকটি অপশন রয়েছে। এছাড়া ইরাক বা সিরিয়ায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সিনিয়র কমান্ডারদেরও টার্গেট করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।