Home » ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।।বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ

ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।।বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ

by নিউজ ডেস্ক

নবীন হাসান: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে গত ৩ দিন থেকে বেড়েছে শীতের প্রকোপ । উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে এই জনপদের মানুষ। রাতভর পড়ছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। ঘন কুয়াশার দাপটে অনুভূত হচ্ছে হাড়কাঁপানো শীত।এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সোমবারের থেকে ১ ডিগ্রি কম । ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল করেছে ধীরগতিতে ও হেড লাইট জ্বালিয়ে। মঙ্গলবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।

এরপরে সূর্য উঠলেও তেমন উত্তাপ ছড়ায়নি। এই শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ, শিশু ও ছিন্নমূল মানুষরা। বিভিন্ন সড়কের পাশে এবং গ্রামে শীত নিবারনের জন্য দরিদ্র মানুষদের আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে।
শহরের গোবিন্দ নগর মুন্সিরহাট গ্রামের রফিজা বেগম বলেন,এবছরে শীত একটু দেরি করে আসলো। অন্য বছর অনেক আগে শীতের দেখা মেলে এ জেলায়। গত তিনদিন ধরে শীতের তীব্রতা খুবই বেশি।
একই গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক জুলেখা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ এই শীত আমাদের জন্য দুর্ভোগ নিয়ে আসে প্রতি বছর। শীতে কাজ করতে পারা যায় না ঘরে থাকাও যায় না। কাজ না করলে খাব কি। একটা লেপ প্রয়োজন। লেপের কারণে রাতে ঘুম আসে না খুব ঠান্ডা লাগে। অন্য বছর কম্বল বিতরণ হলেও এ বছর কোন কম্বল বিতরণ করতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমার মত অনেক গরিব মানুষ কষ্টে রাত কাটাচ্ছে।
কথা হয় সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দিন এর সাথে।তিনি বলেন রিকশা চালায় খাই। গত দুইদিন ধরে রিক্সা বের করতে পারছি না। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না মানুষ জনও তেমন একটা বাড়ি থেকে বের হয় না। দুপুরের পরে রিকশা বের করলে সন্ধ্যার আগে আবার বাসায় চলে আসি। এতে আয় রোজগার কমে গেছে।
বাস ড্রাইভার নজরুল বলেন এত ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালানো যায় না। সকাল ১০-১১ টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। প্রতিবছরই শীতকালে কুয়াশার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে এ জেলায়। আমরা ধীর গতিতে গাড়ি চালাচ্ছি সাবধানে।
ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সলেমান আলী বলেন, সরকারিভাবে প্রায় ২৯ হাজার কম্বল পেয়েছি এবং বেসরকারি ভাবেও কিছু কম্বল পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে হস্তান্তর করেছি। শীত মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।

You may also like