৩৩
নবীন হাসান : গণবুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ খানকে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের গোবিন্দ নগরে অবস্থিত ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর প্রধান কার্যালয়ের জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইএসডিও এবং ইকো পাঠশালা এন্ড কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইএসডিওর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান। তিনি সলিমুল্লাহ খানের সম্পর্কে বলেন, “সলিমুল্লাহ খান আমাদের দেশের এক উজ্জ্বল মনীষী। তিনি আমাদের চিন্তাভাবনায় নবজাগরণ এনেছেন এবং তাঁর সমাজবোধ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। এমন একজন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিকে সংবর্ধনা জানানো আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগের প্রফেসর ড.ইফতিখারুল আলম মাসউদ, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন,ইএসডিও’র চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ। সলিমুল্লাহ খানকে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এরপর তিনি তাঁর বক্তব্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, এবং সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “সমাজের উন্নয়নে মানবিক মূল্যবোধের চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিস্তার অপরিহার্য। এটি কেবল দেশকে এগিয়ে নেয় না, বরং আমাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর লোকমান শরীফের দিক নির্দেশনায় আহমদ ছফার লেখা ‘প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা’ থেকে একটি মনোমুগ্ধকর পাঠ পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সলিমুল্লাহ খানের অবদানের প্রশংসা করেন। বক্তারা তাঁর সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে চিন্তাধারা এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে বলিষ্ঠ অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সবশেষে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষনা করেন ইকো পাঠশালা এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. সেলিমা আখতার।
এর আগে সকালে সলিমুল্লাহ খান ইকো পাঠশালা এন্ড কলেজ, ইএসডিওর প্রধান কার্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি এবং লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘরসহ ইএসডিওর বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শনে তিনি ইএসডিওর সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এসব উদ্যোগ দেশের উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানটি সলিমুল্লাহ খানকে সম্মান জানানো এবং তাঁর আদর্শকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রচেষ্টা হিসেবে প্রশংসিত হয়।