Home » ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড শীতে গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে উপচেপড়া ভীড়

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড শীতে গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে উপচেপড়া ভীড়

by নিউজ ডেস্ক
গড়েয়া প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র ঘনকুয়াশায় জেকে বসেছে শীত সাথে হালকা হিমেল বাতাস,শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কুয়াশার কারণে গত ৫/৬ দিন থেকে ঠিকমত সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে করে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও হাকাচ্ছেন বেশি বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন।
গতকাল রবিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গড়েয়া হাটের হকার্স মার্কেট গুলোতে গিয়ে দেখা যায়,নারী-পুরুষ,শিশুরা ভীড় জমিয়েছেন। তারা প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনছেন সেখানে। প্রায় প্রত্যেকদিন সকাল থেকে দেখা যায়,সড়ক, মহাসড়কে যানবাহন গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করছে। এ কয়েক দিনের প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন রাত ৮ টার আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো। শীত নিবারনের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভীড়করছেন অনেকেই।
বিক্রিও হচ্ছে ভাল। কাপড় কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, এখানে বাচ্চার জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে তিনি এখানে কাপড় কিনছেন। ভাল মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। হর্কাস মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসায়ি জানান, এ বছর নিত্য নতুন, ভাল মানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারেবেন এবং এখনকার মত শীত থাকলে বেচাকেনাও আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।এ অবস্থায় কাজেযোগদান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পরেছেন তারা। সেই সাথে শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদী পশুও। কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়,গতকাল রবিবার পর্যন্ত জেলায় সর্বোাচ্চ ২২ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১০ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে শীত যত বাড়বে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ জন।

You may also like