শহর সংবাদদাতা: ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে তিন জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৬ জন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) বিকালে তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাতের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২ নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও একই সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নিহত হন ১ জন ও আহত হন ৩ জন।
সদর উপজেলার নিহতরা হলেন - শুখানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন (১৭) ও একই এলাকার দুলালের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৯)।
আহতরা হলেন - লাউথুতি গ্রামের বরকত আলীর স্ত্রী রিনা বেগম (৩৮), হাফিজুল ইসলামের ছেলে ফারুক (২২)। আহত আরেকজনের নাম পাওয়া যায়নি। তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। এরা ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অন্যদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৩) নিহত হয়েছেন।
আহত তিন জন হলেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের সবুজের ছেলে ফয়সাল (৮), আমজানখোর ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে রিমান (১০) ও মনিরুলের ছেলে সাকিবুল হাসান (১০)। তারা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
সদর উপজেলায় বজ্রপাতে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শুখানপুকুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, লাউথুতি গ্রামে বাড়ির পাশে ভূল্লী নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল তারা। এসময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনা স্থলে মনির হোসেন ও আরিফুল ইসলাম মারা যান। এছাড়াও এসময় রিনা বেগম তার ছেলেকে খুঁজতে গেলে তিনি সহ আরও দুই জন, মোট তিন জন আহত হন।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, বালিয়াডাঙ্গীতে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তি হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। এছাড়াও সদর উপজেলায় বজ্রপাতে আহত তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের অবস্থা বর্তমানে ভালো আছে।