Home » ঠাকুরগাঁওয়ে শীতার্তদের মুখে হাঁসি ফোটালো এসএসসি ৮১ ব্যাচের বন্ধুরা

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতার্তদের মুখে হাঁসি ফোটালো এসএসসি ৮১ ব্যাচের বন্ধুরা

by নিউজ ডেস্ক
সদর উপজেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও: “মানুষ মানুষের জন্য” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছে একাশিয়ান এসএসসি ১৯৮১ ব্যাচের বন্ধুরা।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৪ শতাধিক শীতার্ত অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।ঠাকুরগাঁওয়ের ৪ শতাধিক মানুষ শীতবস্ত্র পেয়ে খুশি ও আনন্দিত হোন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এস এস সি ১৯৮১ ব্যাচের, ইঞ্জিনিয়ার তৌফিফ হাসান, ডাক্তার অজান্তা রানী সাহা, সন্ধ্যা চৌধুরী, কৃষিবিদ ড. ইসরাত হোসেন, কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার দাস, শাহ মো. নবিউল্লাহ বাবুল, আইনুল হক, সাইফুল ইসলাম সহ অনেক।

শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা বলেন, মানবিক এই কর্মসূচির বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে দায়িত্বরত ১৯৮১ ব্যাচের হৃদয়বান বন্ধুরা আলোচনার মাধ্যমে শীতার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ও পাশে দাঁড়ানোর জন্য ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট দিলে ব্যাপক সাড়া পাই ও তাদের সম্মিলিত সহযোগিতায় আমার উত্তরবঙ্গের মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করছি। ইতিমধ্যে লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলার কয়টি স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ কর্মসূচি-২০২৪ শুরু করা হয়েছে। এই কয়েকটি জেলায় আমরা কয়েক হাজার মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। এতে শীতার্ত মানুষদের শীত সম্পূর্ণভাবে নিবারণ না হলেও একটু হলেও কিন্তু তাদের উপকার হবে। এমন মানবিক কাজে অংশ নিতে পেরে ও মানুষদের মুখে একটু হাঁসি ফোটাতে পেরে আমরা আনন্দিত।

তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানান ৮১ ব্যাচের কৃষিবিদ ডা. ইসরাত হোসেন। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ সহ সারাদেশে অনেক বিত্তবান আছেন তাদেরকেও অসহায় ছিন্নমূল মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।

শীতবস্ত্র কম্বল পেয়ে শিমলা নামে এক বৃদ্ধ মহিলা বলেন, এই ঠান্ডায় খুব কষ্ট হচিল হামার। এলা একটা কম্বল পাইনু। এইডা দেহেনে গা খানত (শরীরে) ঢাকা দিবা পারিম। এতে ঠান্ডা খান একটু কম লাগিবে।
শহিদুল নামে এক বৃদ্ধ বলেন, এই শীতত যে ঠান্ডা করেছে। বাড়ি থেকে খালি বাহির যাওয়া যায় না। কম্বল খান পাহেনে খুব উপকার হইল। এলা এইডা দেহেনে একটু বাড়িত যাওয়া যাইবে। যারা হামাক কম্বল দিল আল্লাহ তাদের ভালো করুক।
কৃষ্ণা নামে এক গৃহবধু বলেন, ঠান্ডায় ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব কষ্ট হয়। শীতের তেমন কোন কাপড় নেই। আজকে আমাদের এইখানে অনেক জনকে কম্বল বিতরণ করলো। আমি একটি কম্বল পেয়েছি। এটা দিয়ে পুরোপুরি ঠান্ডা না গেলেও একটু হলেও উপকার হবে।

You may also like

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. সাকের উল্লাহ

স্বত্ব © ২০২৪ দৈনিক লোকায়ন