৯৮
স্টাফ রিপোর্টার: ঠাকুরগাঁওয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। তবে পুলিশ আসামিদের নাম প্রকাশ করেননি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় পুলিশ বাদি হয়ে এই মামলাটি করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানায়, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ৩ টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি ছিলো। সেই অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (বড় মাঠে) মাঠে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। তার কিছুক্ষন পর কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ছাত্র মাঠ থেকে বের হয়ে মিছিল নিয়ে বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আসেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে কোটা আন্দোলনকারী চৌরাস্তার দিকে দিকে গেলে ছাত্রলীগের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
আবার আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে স্লোগান দিতে দিতে চৌররাস্তার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে কোটা আন্দোলনকারীদের বাধা অতিক্রম করে শহরের চৌরাস্তার দিকে গেলে আবারও ছাত্রলীগের সাথে ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ দু পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতকারীরা দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করে। পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে ও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন। ছোড়া ইটপাটকেলে আঘাতে এসময় সদর থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা ও একজন সদস্য গুরুতর আহত হন।
এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, গতকালের ঘটনায় পুলিশের পক্ষে থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়।