১০৫
জাহিদ হাসান মিলু: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁওয়ে এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া পাল্টা দাওয়ায় ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীসহ শতাধীক আহত হয়েছেন।
রোববার (০৪ আগস্ট) সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বড় মাঠ) অবস্থিত জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত হতে শুরু করে। পরে বেলা ১১ টার দিকে তারা এক দাফা দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বেড় করে শহরের পুরাতণ বাসস্ট্র্যান্ড এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন।
সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পরে তারা আবার বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পঞ্চচড়-ঢাকা মহাড়ক দিয়ে সত্যপুর ব্রীজ হয়ে শহরের চৌরাস্তায় অবস্থান করেন।
এসময় আন্দোলনকারীরা সদর উপজেলার পরিষদের ভিতরে ঢুকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ভাঙচুড় ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন। এতে মোটরসাইকেলে গুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এছাড়াও আন্দোলনকারীরা শহরের চৌরাস্তার পাশে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ও কোর্ট চত্বরসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভাঙচুড় ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুড়ে। তাতে আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলে বেশ কয়েক জন পুলিশ ও একজন সাংবাদিক আহত হন। এছাড়াও বিকাল ৫ টা পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে সব মিলিয়ে শতাধীক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে আনুমাণিকভাবে নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএসও) ডা. মো. রকিবুল আলম (চয়ন)।
অন্যদিকে সকাল ১১ টা থেকে শহরের সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ ও সড়কে আগুন চালিয়ে আন্দোলন করায় যান চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। আন্দোলনকারীদের ভাঙচুড় ও অগ্নিসংযোগের ফলে শহর জুড়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এছাড়াও পরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ও ভাঙচুড় ও অগ্নিসংযোগ করেন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা।