Home » ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনগুলি বেদখল ॥ তদারকির অভাবে মাদকসেবীদের আখড়া ॥ চুরি হচ্ছে মূল্যবান সামগ্রী

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনগুলি বেদখল ॥ তদারকির অভাবে মাদকসেবীদের আখড়া ॥ চুরি হচ্ছে মূল্যবান সামগ্রী

by নিউজ ডেস্ক

লোকায়ন রিপোর্ট
ঠাকুরগাঁও সদরের পুরাতন হাসপাতাল চত্বরে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরকারি অধিকাংশ কোয়ার্টার বেদখল হয়ে যাচ্ছে। অনেক কোয়ার্টার ফাঁকা পড়ে থাকায় এবং তদারকির অভাবে সেগুলি এখন পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের আখড়ায়। চুরি হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সামগ্রী। এব্যাপারে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেকটাই যেন অসহায়।


প্রায় দুইযুগ আগে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে প্রথম শ্রেণীর ৪টি ইউনিট, দ্বিতীয় শ্রেণীর ২টি ইউনিট, তৃতীয় শ্রেণীর ৪টি ইউনিট ও চতুর্থ শ্রেণীর ২টি ইউনিট নির্মাণ করা হয়। সেখানে বরাদ্ধ দেওয়া হয় বিএমএ’র জন্য একটি ভবন। নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ এই বাসাগুলিতে ভাড়া থাকবেন। এই বাসাগুলিতে থাকার জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা রয়েছে। কিন্তু কেউ নিয়ম অনুযায়ী এখানে ভাড়া থাকেন না। যারা রয়েছেন ভাড়া বেশি’র অযুহাতে তারাও ভাড়া দেন না। প্রায় এক যুগ থেকে এভাবে প্রায় বিনা ভাড়াতেই বাসা দখল করে রয়েছেন তারা। বিদ্যুৎ বিলও তাদের পরিশোধ করার অবকাশ নেই। সরকার অর্থাৎ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই নাকি তাদের ব্যক্তিগত ব্যবহার্য বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, বিএমএ ভবনে একজন ঠিকাদারও বাস করছেন। এসব ভবনে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ১০/১২ জন কর্মী বাস করছেন বেশ আয়েশেই।

তাদেরও কোন বাসা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, প্রকৃত ভাড়ার মাত্র ১০ শতাংশ ভাড়া দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীগণ বাসাগুলিতে থাকতে পারবেন বলে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন এই নির্দেশনা দিতে পারেন কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে।


অন্যদিকে অনেক কোয়ার্টার ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ২য় শ্রেণির ইউনিটগুলি ৫/৬ বছর থেকে পড়ে রয়েছে ফাঁকা। এগুলি পরিণত হয়েছে মাদকের আখড়ায়। চুরি হয়ে যাচ্ছে ভবনের সামগ্রী।
এব্যাপারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি মাত্র ৩ মাস হলো এখানে বদলি হয়ে এসেছেন। এসব ভবনের প্রকৃত ভাড়ার মাত্র ১০ শতাংশ ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই। সরকারি নীতি অনুযায়ী এটা হওয়ার কথা নয়। কেউ বিনা ভাড়ায় রয়েছেন বা কেউ দখল করে রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। সত্যি হলে ব্যবস্থা নিবেন তিনি। তিনি স্বীকার করেন যে, ফাঁকা পড়ে থাকা ভবনগুলি মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এবং ভবনের অনেক কিছু অহরহ চুরি হচ্ছে। এজন্য তিনি অসহায়। তিনি বলেন যে, এমনিতেই আমাদের লোকবল কম। পুরাতন হাসপাতালের এসব ভবন দেখভালের জন্য লোক পাব কোথায়

You may also like