১২৩
আবু তাহের আনসারী , তেঁতুলিয়া প্রতিনিধিঃ তেঁতুলিয়া হাসপাতালের পুরাতন অকেজো মালামাল বিক্রির টেন্ডারে ঘাবলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
জানাযায়, তেঁতুলিয়া হাসপাতালের কিছু পুরাতন অকেজো মালামাল বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দরপত্রের কোন প্রকার পণ্যের নাম বা পরিমাণ উল্লেখ না করেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ঠিকাদার নিজেই সাংবাদিক হওয়ায় তার পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি গোপন করে রাখেন। গোপনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিয়াজো করে অন্য কোন ঠিকাদারকে না জানিয়ে নিজের মতো করে মাত্র চারটি দরপত্র দাখিল করা হয়। এদিকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের আগ মূহুর্তে গত ২২ এপ্রিল দরপত্র খোলা হয়। সেখানে কৌশলগত কারণে দুটি দরপত্র বাতিল করে সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দামে দুই নামে দুটি টেন্ডার পায় আব্দুর রাজ্জাক ও মেসার্স জয় এন্টারপ্রাইজ।
সদ্য বদলিকৃত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাক্তার মাসুদ পারভেজ ১৫ মে বুধবার পুরাতন অকেজো মালামাল গুদাম থেকে অপসারণ করার জন্য চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। পত্র পাওয়া মাত্রই ঐদিনই টেন্ডারের চেয়ে অতিরিক্ত মালামাল বাহিরে বিক্রি করলে বিষয়টি এলাকাবাসীর চোখে সন্দেহ হলে উক্ত মালামালের গাড়িটি চৌরাস্তা বাজারে আজিবুদ্দিনের ভাঙ্গারির দোকানে আটক করেন তারা। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মালামালের তালিকা চেক করে কিছু বিস্তর গড়মিল পাওয়া যায় বলে জানা যায়। মালামালের মধ্যে ছিল পুরাতন চেয়ার,টেবিল, ফ্যান, আলমারি, রোগীর বেড, তামার তার সহ বেশ কয়েক প্রকার পণ্য। তালিকা চেকিংএ দেখা তামার তার উল্লেখ করা হয়েছিল মাত্র ৫১ কেজি কিন্তু ভাঙ্গারির দোকানে তা ওজন দিয়ে পাওয়া যায় ২০৪ কেজি। এছাড়াও অন্যান্য পণ্যের হিসাবেও ব্যাপক গড়মিল পাওয়া যায়। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালের অফিস সহকারি মিজানুর রহমান জানান, কাগজপত্রের বাহিরে অতিরিক্ত কোন প্রকার মালামাল বিক্রি করার সুযোগ নাই যদি গিয়ে থাকে তাহলে গুদাম রক্ষক ও ঠিকাদার দায়ী হবে।
এব্যাপারে গুদাম রক্ষক ও ফার্মাসিষ্ট আতিয়ার রহমানের সাথে কথা বলেন তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছুই বলতে পারবো না। প্রয়োজনে আপনারা তথ্য অধিকারে আবেদন করতে পারেন।
এব্যাপারে সদ্য বিদায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ পারভেজ (বর্তমানে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার শেষ কর্ম দিবসেই সব কিছুই কমপ্লিট করে আমি ঐ দিনই বিকেলে তেঁতুলিয়া থেকে চলে আসছি। শিডিউলের বাইরে কোন মালামাল বিক্রি হওয়ার কথা নয়। যদি বিক্রি হয়ে থাকে তা আমার জানা নাই।