দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি তাদের অবদান আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি।’ শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের স্বীকৃতির পাশাপাশি তাদের দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আরও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এবছর থেকে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রবাসীরা প্রতিবছরে গড়ে প্রায় ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বলেও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকার সেবা প্রদান ডিজিটাল ও সহজতর করেছে। সুষ্ঠু, নিরাপদ, নিয়মিত ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রবাসীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ২০০৯ সাল থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক, বিনিয়োগ ও দক্ষতার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নে যেন আরও বহুমাত্রিক ভূমিকা রাখতে পারেন সেলক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা ‘জাতীয় ডায়াসপোরা নীতি, ২০২৩’ প্রণয়নের কার্যক্রম শুরু করেছি। দেশের সঙ্গে প্রবাসীদের আরও নিবিড় ও অর্থবহ সংযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি আশা করি, আমাদের সরকারের এই উদ্যোগে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেদের আরও বেশি সম্মানিত বোধ করবেন।
‘জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বাসস।