ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় লক্ষীর ধাম দাসপাড়া নামক স্থানে।এই ঘটনার পরে পরিবারের সদস্যদের কান্না এবং আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
ওই এলাকার বাসিন্দা সুবাস জানান, সাইদুরের হাসকিং মিলে শ্রমিকরা ধান সিদ্ধ করার জন্য বয়লারের স্টিম তুলেন। এক সময় শ্রমিকরা পাশের হোটেলে নাস্তা খেতে গেলে অতিরিক্ত চাপে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে বয়লারের একটি বড় অংশ উড়ে এসে দীপ্তি রানী, তার মেয়ে পূজা ও পলকের ওপর গিয়ে পড়লে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনার পর থেকে হাসকিং মিলের মালিক সাইদুর রহমান, মিলের শ্রমিক এবং পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে ।
আইনুল হক নামে এক মিল ব্যবসায়ী জানান, বয়লারের দুটি ভাল্ব থাকে। ভাল্ব গুলো যদি বন্ধ থাকে ঘটে, তাহলে ভিতরে গ্যাস হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। আমি ধারণা করছি এখানেও তাই হয়েছে। এতে মিলের শ্রমিকদের অবহেলা আছে।
নিহত পলকের বাবা উমাকান্ত দাস বলেন,মিল মালিক এবং শ্রমিকদের অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আমি আমার ছেলে সহ পরিবারের আরো দুই সদস্যকে হারিয়েছি।আমি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার চাই।
এই ঘটনার পরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার, দিনাজপুর অঞ্চল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম সরকার।
দিনাজপুর অঞ্চল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম সরকার বলেন, বয়লারের যে ভাল্ব গুলো থাকে এগুলোতে কোন ত্রুটি থাকতে পারে এতে করে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ব্যবস্থাপনায় কোন ত্রুটি ছিল কিনা সেটা আমরা যাচাই-বাছাই করব। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বলেন, মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।