স্পোর্টস ডেস্ক
বছর জুড়ে শুধু পারফরম্যান্সেই নয় নেতৃত্বগুণে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন প্যাট কামিন্স। অজি পেসারকে তাই বর্ষসেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসি।
একই দিন আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার ও বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের নামটিও প্রকাশিত হয়েছে। ভারতের তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি হয়েছেন ওয়ানডের বর্ষসেরা। আর টেস্টের বর্ষসেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজা।
কামিন্সের নেতৃত্বগুণেই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। জিতেছে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। পুনরূদ্ধার করেছে অ্যাশেজও।
২০২১ সালের পর তার অধীনে সর্বোচ্চ চূড়া ছুঁয়েছে অজি দল। এই পুরস্কার জিততে তিনি পেছনে ফেলেছেন সতীর্থ ট্রাভিস হেড, বিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজাকে। সব মিলে ২৪ ম্যাচ খেলে কামিন্স ৪২২ রানের পাশাপাশি ৫৯ উইকেট নিয়েছেন।
কামিন্সের স্মরণীয় পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ ফাইনাল। টস জিতে শুরুতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা দারুণ শুরুতে ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কামিন্স ঠিক তখনই ম্যাক্সওয়েলের হাতে বল তুলে দিলে ক্যাচ আউট হন রোহিত। তাতে দিশা হারায় ভারতের ইনিংস। তার বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বেই স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ২৪০ রানে। তার পর তো ৪ উইকেট হারিয়েই ম্যাচ জিতে নেয় অজি দল।
ওয়ানডের বর্ষসেরা কোহলি বছর জুড়েই দারুণ ফর্মের জন্য আলোচিত ছিলেন। ২৭ ম্যাচে করেছেন ১ হাজার ৩৭৭ রান। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে রেকর্ড ৫০তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। তাতে এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। এই বছর তার সেঞ্চুরি ছিল ৬টি আর হাফসেঞ্চুরি ৮টি।
টেস্টের বর্ষসেরা খাজার ১৩ ম্যাচে সংগ্রহ ছিল ১ হাজার ২১০ রান। স্মরণীয় পারফরম্যান্স বলতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে দুটি বড় ইনিংস। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অপরাজিত ১৯৫ রানের পর ভারতের বিপক্ষে ১৮০ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে সেরাটা লুকিয়ে রেখেছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে।