লোকায়ন ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবার সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
পাপন মন্ত্রী হওয়ার পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তিনি বিসিবি সভাপতি হিসবে থাকবেন কী না। সহসাই বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়তে পারবেন না জানিয়ে মন্ত্রীত্ব নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পাপন।
বিসিবি সভাপতি পদে থাকা নিয়ে আইনে কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে পাপন বলেন, ‘আইনে কোনো সমস্যা নেই এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা এটা অস্বাভাবিক কিছু না। যদিও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড, মন্ত্রণালয়ে নাও থাকি তাও ক্রিকেট সবসময় আমার সাথে থাকবে।’
এ সময় পাপন জানান আপাতত বোর্ডের বাইরে কারও বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই। আইসিসির কিছু কমিটিতে থাকায় তিনি এখনো সরে দাঁড়াতে পারছেন না। আইসিসির চলমান বোর্ডের দায়িত্ব শেষ হলে বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
এর মধ্যে যদি কেউ বিসিবি সভাপতি হন, তাহলে বোর্ডের কোনো পরিচালকই এই দায়িত্বে অসীন হবেন বলে জানিয়েছেন।
‘আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই’ -বলেছেন পাপন।
তৃতীয় মেয়াদে বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে থাকা পাপনের কাছে নতুন দায়িত্বটাও চ্যালেঞ্জিং, ‘অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং, যেকোনো মন্ত্রণালয়ই চ্যালেঞ্জিং। একসঙ্গে আমি মনে করি যে যেহেতু এতদিন ক্রীড়া সঙ্গেই ছিলাম, তবে একটা ক্রিকেট নিয়ে। কাজেই এখন তো শুধু ক্রিকেট না, সবগুলো খেলাধুলা তার সঙ্গে আবার যুব।’