নবীন হাসান : সাবেক রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন মন্ত্রিত্ব হারানোর পর পরই তার নিজ এলাকায় আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ট্রেন পরিবর্তন করে জরাজীর্ণ বগি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।এতে যাত্রীরা ক্ষোভে ফুসে উঠেছে। তবে রেল বিভাগের দাবি আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও – পঞ্চগড় রেলপথের দৈর্ঘ্য ৬৩৯ কিলোমিটার। এই রুটে দ্রুতযান এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস নামে মোট তিনটি ট্রেন চলাচল করে।
ট্রেন যাত্রা স্বস্তিদায়ক হওয়ায় ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুরের মানুষের প্রথম পছন্দ রেল যাত্রা। কিন্তু আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ট্রেনগুলো পরিবর্তন করায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। যাত্রীরা বলছে ১৮ বছরের পুরাতন এই বগি গুলোতে নেই নামাজ ঘর, সিটগুলো অত্যন্ত সংকীর্ণ ও ছেরা ফাটা।বসতে গেলে পা আটকে যায় সিটের সাথে। মোবাইল চার্জিং পোর্ট গুলো বেশিরভাগই নষ্ট। তাই তাদের দাবি অবিলম্বে পুরাতন বগি ফেরত নিয়ে নতুন বগি দেয়ার ।
আলাউদ্দিন নামের এক ট্রেন যাত্রী বলেন, আগের বগি গুলো নতুন, আধুনিক এবং আরামদায়ক ছিল। যাতায়াতে অনেক সুবিধা হত। কিন্তু বর্তমানে যে বগি গুলো রয়েছে সেগুলো অনেক পুরনো এবং জরাজীর্ণ, নোংরা।
আরেক ট্রেন যাত্রী রোজ ইসলাম বলেন, বর্তমান ট্রেনের সিটগুলো অনেক ছোট এবং চাপা। বসলে হাঁটুর সাথে সামনের সিট লেগে যায়। আর বেশিরভাগ সিটের কাভারগুলো ছেড়া এবং শক্ত। বর্তমানে ১৮ বছর পুরানো যেই বগিগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই চার্জিং পোর্ট নষ্ট। এবং অনেক সময় ট্রেনের ভিতরের বাতিগুলো বন্ধ হয়ে যায় এতে করে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
জাহিদুল ইসলাম নামের এক ট্রেন যাত্রী বলেন, আমরা উত্তরাঞ্চলের মানুষ বরাবরই অবহেলিত। অনেক আন্দোলন করেছি আমরা এই রুটে ট্রেন চলাচলের জন্য। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রথমে ভালো ট্রেন দিলেও এখন তা পরিবর্তন করে পুরনো ট্রেন দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে আমাদের আগের ট্রেন ফিরিয়ে দেয়া হোক।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও রোড রেলওয়ে স্টেশনের সহকারি মাস্টার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই রুটে যাত্রীর চাপ অনেক। তাই আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই বগি গুলো দেওয়াতে সারা দিনে তিনটি ট্রেন মিলে ৫৮৫টি সিট বৃদ্ধি পেয়েছে।
নতুন বগি গুলো আবারো পঞ্চগড় ঢাকা রুটে চলাচল করবে এমনই প্রত্যাশা যাত্রীদের।
নবীন হাসান
ঠাকুরগাঁও