লোকায়ন ডেস্ক
উত্তরের জেলা দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ তীব্র রূপ ধারণ করেছে। ভোর ৬টায় জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় জেলায় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই মৌসুমে দেশের ও দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) পঞ্চগড়ে এই মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
জানা যায়, রবিবারে জেলায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় তিন থেকে চার কিলোমিটার। এর আগে, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে চারপাশ। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে এবং হেডলাইট জ্বালিয়ে।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে এই অঞ্চল। চলমান শৈত্য প্রবাহ আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।
অপর দিকে, পঞ্চগড় জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, রবিবার ভোর ৬টায় জেলায় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। গত কয়েক দিন থেকেই এ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলে। কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।’
শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা।