Home » রবীন্দ্রনাথ সরেনের আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

রবীন্দ্রনাথ সরেনের আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

by নিউজ ডেস্ক

লোকায়ন ডেস্ক: আজ (২৮ জানুয়ারি ২০২৪) রবীন্দ্রনাথ সরেনের নিজ বাসগৃহে তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এসময় ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ক্যাপিস্টোন ফেলো এনডিসির পক্ষে শাহ মো. আমিনুল হক (এপিসি, ইএসডিও) শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং শোকার্ত পরিবারের মাঝে অনুদান প্রদান করেন।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি ও সমতল ভূমির আদিবাসীদের অন্যতম সংগঠক রবীন্দ্রনাথ সরেন দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার বারকোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম দারকাল সরেন ও মাতার নাম সুমি টুডু। চার ভাই বোনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ সরেন ছিলেন সবার ছোট। বারকোনা প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রাইমারি, পার্বতীপুর হাবড়া হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং দিনাজপুর সঙ্গীত কলেজ থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর রাজশাহী শাহ মখদুম কলেজ থেকে ডিগ্রি পাশ করার পর তিনি রাজশাহী আইন কলেজে ভর্তি হন। কিশোর বয়সেই রবীন্দ্রনাথ সরেন আদিবাসীসহ গরীব ও মেহনতি মানুষের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র উপলব্ধি করেন। সমাজে বিদ্যমান শ্রেনী বৈষম্য, পুঁজিবাদ, বর্ণবৈষম্য, নিপীড়িত আদিবাসীদের আর্তনাদ ও পোষিতের হাহাকারের মুক্তির জন্যে ছাত্রজীবনে বামপন্থী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। সমতল ভূমির আদিবাসী কন্ঠস্বর হিসেবে তিনি বেশি সুপরিচিত। উত্তরবঙ্গের আদিবাসীদের ভূমি ও মানবাধিকার লংঘনের যে কোনো ঘটনা নিজ তৎপরতায় পরিদর্শন করে তৎক্ষণাৎ লাঞ্চিত ও নিপীড়িত আদিবাসীদের মনে সাহস যোগাতেন। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বের ফলে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কার্যক্রম উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিনবঙ্গ ও রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। সেতুবন্ধ ঘটে পাহাড় ও সমতলের শোষিত আদিবাসীদের মুক্তির সংগ্রামের। সাংগঠনিক কর্ম দক্ষতার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ সরেন তৃনমুলের একজন সাধারণ কর্মী থেকে হয়ে ওঠেন জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক স্তরের নেতা। তাঁর বলিষ্ঠ কন্ঠের মাধ্যমে এদেশের মেহনতি, পোষিত ও আদিবাসী মানুষের মুক্তির বানী উচ্চারিত হয়েছে বহুবার। শোষিতের মুক্তির দ্বীপশিখা চির সমুন্নত রাখা এই বীরের অকাল প্রয়াণ ঘটে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ বারকোনায় নিজ বাসগৃহে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

 

You may also like