লোকায়ন ডেস্ক:
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে গত ১০ দিন ধরে রাভভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) শেষ বিকেলে সূর্যের দেখা মিললেও আজ আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এরা আগে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ৮.৮ ডিগ্রি এবং রোববার (১৪ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় এ জেলায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চারদিন পর আজ বৃহস্পতিবার ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিনাজপুর। বাতাসের আর্দ্রতা বিরাজ করছে ৯৭ শতাংশ।
চলতি বছর এটি দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। শীতের সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। চলতি মৌসুমে আজ বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাশ। আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এজন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে।
সূত্র: জাগো নিউজ।