হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ- কুলিক নদের ওপর একটি সেতুর অভাবে জন দূভোগের ভোগান্তিতে রয়েছে হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার ১০ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ নরবড়ে বাঁশের সাঁকোই তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। শনিবা (৩০মার্চ) সকালে হরিপুর উপজেলার দিলগাও গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ৫০ মিটার লম্বা বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা পার হচ্ছেন। ভ্যান,সাইকেল,মোটর সাইকেল চালিয়ে ও মানুষ নদের দুই পাশের গ্রামে যাওয়া আশা করছেন। ব্রিজ না থাকায় নড়বড়ে এ সেতুতে প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা। বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি ভেঙে গেলে দূর্ভোগের ষেশ থাকে না সেখানকার বাসিন্দাদের। বিশেষ করে রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েন তারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের বারবার আশ্বাসেও সেখানে হচ্ছে না কোন সেতু। এতে ক্ষেভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে , হরিপুর উপজেলার ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়ন ও রানীশংকৈল উপজেলার লেহেম্ব ইউনিয়নের লোক জন প্রায় ২০ বছর ধরে দিলগাঁও গ্রামে কুলি নদের কেল্লা মনির ঘাটে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল শুরু করে। তখন থেকে স্কুল-কলেজ,হাট-বাজার,ব্যবসা-বাণিজ্যসহ ভাতুরিয়া ইউনিয়নের, ঝাঁরবাড়ি, টেংরিয়া, দিলগাঁও, চাপাসার ও মুলকান এবং লেহেম্বা ইউনিয়নের বশতপুর, লেহেম্বা, বর্ম্মপুর, বদনকন্ড, বিরাশি, চাপোর, পাতিপুর এই সকল গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল হক বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি পানির ¯্রােতে ভেঙে যায়। তখন মানুষের দূর্ভোগের শেষ থাকেনা । কলেজ ছাত্র বাবুল বলেন, আমরা যখন এই সাাঁকো দিয়ে চলাচল করি তখন ভয় লাগে। বর্ষাকালে অনেক পথ ঘুরে কলেজে যেতে হয়। সময়মত কলেজে যেতে পারিনা । সাঁকোর বদলে এখানে যদি একটা ব্রিজ হতো তহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হতো। কৃষক রমজান আলী, মোকমুল হোসেন, আমিরুল বলেন , কুলিক নদের এপার ও ওপারে আমাদের কৃষি জমি রয়েছে। জমি চাষাবাদের জন্য খড়া মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করি। কিন্ত বর্ষা মৌসুমে পরতে হয় মহা বিপাকে। তাই এখানে একটি সেতুর দরকার। ইউনিয়ন চেয়ারম্যার শাজাহান সরকার বলেন, দিলগাঁও ঘাটে একটি ব্রিজের জন্য ঠাকুরগাঁও-২ সংসদ সদস্য কে জানানো হয়েছে।
আব্দুর রশিদ- হরিপুর-ঠাকুরগাঁও-০১৭১৭২৮৯৮২২
হরিপুরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই ১০ গ্রামের ভরসা
১২০