২৫৪
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: গ্রাম্য আদালতের এক বিচারককে বিচারের জন্য আটক করেছে আরেক বিচারক। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। আটককৃত বিচারক হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি। গুরতর জখম, হাড়ভাঙ্গা, হত্যারচেষ্টা চুরি বলপূর্বক সম্পত্তি দখল,ভয়ভীতি প্রর্দশন ও হুকুম দানের অপরাধের মামলায় জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন না দিয়ে চেয়ারম্যান কে কারাগারে পাঠায়।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার এর আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৭ জানুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে পীরগঞ্জ থানা পুলিশকে নিদের্শন প্রদান করেন। পুলিশ১৫ জানুয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমানকে প্রধান বিবাদী করে মোট সাত জনের নাম উল্লেখ্য করে পীরগঞ্জ থানায় রাণীশংকৈল উপজেলার গোগর মাঝাটোলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা মামলা করন।
গ্রাম্য আদালতের বিচারক হোসেনগাও ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের আইনজীবি আনোয়ার হোসেন, জামিনের জন্য আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এসঙ্গে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল আনাম ডন মুঠোফোনে বলেন, চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে গ্রফতারী পরোয়ানা জারি ছিল। ফৌজদারী অপরাধ করলে গ্রাম্য আদালতের বিচারক কেন? যে কোন বিচারক আটক হতে পারে। আইন সবার জন্য সমান।