লোকায়ন ডেস্ক: পঞ্চগড় সদর উপজেলায় স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হয়ে গেলেও একটি পিচ ঢালা সড়কের অভাবে দুর্ভোগে রয়েছে ৬ গ্রামের মানুষ। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রোগীসহ সর্বসাধারণ চলাচলে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বড় কামাত থেকে মহারাজার দিঘি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় বর্তমানে শুকনো মৌসুমে কোন মতে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষার সময় রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে যায়।
এই রাস্তা পিচঢালা করার দাবি দীর্ঘদিনের হলেও স্বাধীনতার ৫২ বছরের তা জোটেনি তাদের ভাগ্যে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাট-বাজার থাকার পরেও বিষয়টি নিয়ে কারো মাথাব্যাথা নেই। এতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন।
স্থানীয়রা জানান কেউ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চায় না। কিন্তু আমাদের কোন উপায় না থাকায় কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। কেউ মারা গেলে বা অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সতো দূরের কথা ইজিবাইকও(অটো) আসতে চায় না।
স্থানীয় বাসিন্দা আল ইমরান ও আকবর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সকলেই খুব কষ্টে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছি। এই রাস্তা পাকা করার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের, কিন্তু বিষয়টি কেউ নজরে নিচ্ছে না। কয়েকবার বেশ কয়েকজনকে রাস্তা মাপতে দেখা গেলেও আজও এর সংস্কার কাজ দৃশ্যমান হয়নি।
কথা হয় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সঙ্গে। তারা বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচা মাটিররাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করি ততবার একটা না একটা সমস্যা হয়। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার শিকারও হই আমরা।
ব্রিটিশ আমলে এই মাটির সড়কটি তৈরি হয়। এর পর অমরখানা ইউনিয়নের বড় কামাত থেকে মহারাজার দিঘি এলাকা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহার শুরু করে আশপাশের ৬টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজারের অধিক বাসিন্দা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলামকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নতুন নির্বাচিত হওয়ায় রাস্তা পাকা না হওয়ার কারণ জানা নেই বলে জানান এবং এই সংবাদের মাধ্যমে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি পাকা করতে এগিয়ে আসবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।
পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামানের কাছে এই রাস্তা পাকা না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনিও এ বিষয়ে কেউ অবগত নন বলে জানিয়ে রাস্তা পাকা করার বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানান।