লোকায়ন ডেস্ক
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের সময় অনিয়ম ও কারচুপির যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি স্বাধীন তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে একটি দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে এই আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন এই খবর জানিয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় দীর্ঘ বিলম্ব হয়েছে। এতে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামায়াত-ই-ইসলামি (জেআই), এবং জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ)-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
তবে ইতোমধ্যেই জোট সরকার গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করেছে পিপিপি, পিএমএল-এন এবং এমকিউএম-পি সহ অন্যান্য দলগুলো। কেননা, নির্বাচনে কোনও দলই সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এবারের নির্বাচনে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বাধিক আসন জিতেছে। এরপরই রয়েছে পিএমএল-এন এবং পিপিপি। দল দুটি জোট সরকার গঠনে উঠেপড়ে লেগেছে।
সোমবার একটি দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, ‘আমরা মনে করি পাকিস্তানে আইনি ব্যবস্থা নিজেই কার্যকর হবে। আর এটিই প্রথম কাজ হওয়া উচিত। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এটিই সঠিক হবে আর তাদের এটিই করা উচিত।’
মার্কিন আইন প্রণেতারা বাইডেন প্রশাসনকে কথিত নির্বাচনি জালিয়াতির দাবির বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের জন্য চাপ দিচ্ছেন এমন একটি প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেছিলেন, ‘আমি জানি না একটি স্বাধীন তদন্ত করার জন্য তারা ঠিক কোন সংস্থার প্রস্তাব করছেন।’
এ সম্পর্কিত অন্য আকেটি প্রশ্নের জবাবে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ‘হস্তক্ষেপ এবং জালিয়াতির যে দাবিগুলো দেখা যাচ্ছে তা পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। সামনের দিনগুলোতে এটি নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাব।’
তবে সহিংসতা এবং ইন্টারনেট ও সেল ফোন পরিষেবার উপর বিধিনিষেধের মতো রাজনৈতিক ও নির্বাচনি সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন মিলার। তার মতে, এগুলো নির্বাচনের উপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলেছে।
কথিত নির্বাচনি অনিয়ম সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, এটি স্পষ্টতই একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন ছিল যেখানে জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছিল। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং সরকার গঠনের পর দেশটির সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত।’