লোকায়ন ডেস্ক:
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় একটি সোনার খনিতে ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেশটির বলিভার প্রদেশের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামের ওই উন্মুক্ত সোনার খনিতে মাটির দেয়াল ধসে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কর্মকর্তা ইওরগি আর্কিনিগার বরাতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ওই খনিতে কমপক্ষে ২০০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। খনিটি বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। এই অঞ্চলটি লা প্যারাগুয়া থেকে চার ঘণ্টা দূরত্বে এবং রাজধানী কারাকাসের ৭৫০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। লা প্যারাগুয়া থেকে ৭ ঘণ্টার নৌকায় ভ্রমণ করে ওই খনিতে পৌঁছানো যায়।
বেসামরিক নিরাপত্তা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা এক এক্সবার্তায় এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যাকে ‘অনেক বড় অঙ্ক’ বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও তিনি নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি উন্মুক্ত খনির অগভীর পানিতে কর্মরত লোকদের ওপর ধীরে ধীরে মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে পড়ছে। এসময় শ্রমিকদের অনেকেই সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হন। আবার অনেকে মাটির দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন।
দুর্ঘটনার খবরে ওই খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের স্বজনেরা লা প্যারাগুয়া শহরের উপকূলে অপেক্ষা করছেন।
একটি নৌকা থেকে একটি মৃতদেহ নামানো সময় একজনকে ‘আমার ভাই আমার ভাই’বলে চিৎকার করছিলেন।
এক নারী এএফপিকে বলছিলেন, ‘আহতদের হেলিকপ্টার দিয়ে সরিয়ে হাসপাতালে নিতে আমরা তাদের অনুরোধ করছি। ’
খনি শ্রমিকদের অনিরাপদ কাজের পরিস্থিতি সম্পর্কে এএফপিকে স্থানীয় বাসিন্দা রবিনসন বসন্ত বলেন, এ দুর্ঘটনা ঘটার কথাই ছিল। খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের বেশিরভাগই চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়ে বলে জানিয়েছেন বলিভার প্রদেশের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস।
তিনি বলেন, অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য কারাকাস থেকে উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হচ্ছে। দমকল বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো বিমানে উড়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
বলিভার অঞ্চল সোনা, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টান সমৃদ্ধ। রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও এই অঞ্চলে অবৈধভাবে এসব মূল্যবান ধাতু উত্তোলনের বিকাশমান শিল্পও রয়েছে।