পিআইডি, রংপুর: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ ও বাজার মূল্য নিরূপণ করলে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমবে। ধর্মীয় অনুশাসন ও প্রচলিত আইন মেনে পণ্যের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন থাকতে হবে। শুক্রবার (১৫ই মার্চ) সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবু জাফর এসব কথা বলেন। রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই সভার আয়োজন করে। এ বছর বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি’।
আলোচনাসভার শুরুতে ভোক্তা-অধিকার বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আজাহারুল ইসলাম। তথ্যচিত্রে তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভোক্তার মানসম্পন্ন পণ্য পাওয়ার যেমন অধিকার রয়েছে, তেমনি পণ্য পছন্দ ও পণ্য সম্পর্কে জানার অধিকারও রয়েছে। ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিত করতে পণ্যের উৎপাদনকারী, প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ভোক্তাকেও তাঁর অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
তথ্যচিত্র উপস্থাপনের পর মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তাগণ ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়নে করণীয়, পণ্যের মিথ্যা বিজ্ঞাপন বন্ধ ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ বিষয়ে তাঁদের নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উত্তম কুমার পাল, বিভাগীয় সমাজসেবা অফিসের পরিচালক মোঃ ফজলুল কবীর, রংপুরের জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম। আলোচনাসভায় সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।