নবীন হাসান : গতকাল রাত থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমে এসেছে। এতে জনজীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে। রোজাদারদের মনে এনে দিয়েছে প্রশান্তি।তবে কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছে অফিস, স্কুলগামী ও খেটে খাওয়া মানুষ। এই বৃষ্টির কারণে আম, লিচু, ভুট্টা সহ বিভিন্ন ফসলের উপকার হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ । মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টি শুরু হয় ।থেমে থেমে চলে রাতভর।
ঠাকুরগাঁও গোবিন্দ নগর মুন্সিরহাটের লিচু বাগান মালিক নুর ইসলাম বলেন, এবার লিচুর প্রচুর মুকুল এসেছে। এই সময়টাতে আমাদেরকে বাগানের শেচ দিতে হয় এতে প্রচুর টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের এই সেচ খরচটা বেঁচে গেল।
ভুট্টা চাষী শফিকুল ইসলাম বলে, বেশ কয়েকদিন ধরে খরা চলছিল তাই জমিতে সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় সেটা আর প্রয়োজন হচ্ছে না এতে আমরা লাভবান। তবে বাতাস হলে আমাদের ক্ষতি হবে। কলেজ ছাত্র আসিফ বলেন, বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে স্কুল কলেজে যেতে আমাদের দুর্ভোগকে পড়তে হয়েছে। রাস্তায় যানবাহন কম থাকায় সমস্যায় পড়েছি। রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, একেই তো দ্রব্যমূলের উদ্যোগ গতি তার ওপরে এই বৃষ্টি আমাদের জন্য কষ্টের। সারাদিনে যা আয় করি তা বাজার করতে চলে যায়। কিন্তু আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোন ভাড়া মারতে পারিনি তাই বাজার করব কিভাবে চিন্তায় আছি।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ১৪ মিলিমিটার, হরিপুরে ৮ মিলিমিটার, পীরগঞ্জে ৬ মিলিমিটার, রাণীশংকৈলে ৪ ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ।
এ বৃষ্টির ফলে জেলায় কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি কারণে জমিতে শেচ দিতে হবে না কৃষকদের। এতে কৃষকেরা লাভবান হবে।