লোকায়ন ডেস্ক:
সিরিয়ায় কন্স্যুলেট অফিসে হামলার জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালানো হবে বলে ৭২ ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্ক করেছিল ইরান।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান এ দাবি করেছেন।
যদিও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেনি তেহরান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, আমাদের অভিযানের ৭২ ঘণ্টা আগে আমাদের বন্ধু এবং প্রতিবেশী দেশগুলোকে জানিয়েছি যে, ইসরায়েলকে অবশ্যই জবাব দেবে ইরান, যা বৈধ এবং এড়ানোর উপায় নেই।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবির বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলার আগে তারা ওয়াশিংটন ও তেহরান উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক, জর্ডান এবং ইরাকের কর্মকর্তারা রোববার বলেছেন, ইসরায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক দিন আগে তাদেরকে বিস্তৃত নোটিশ দিয়েছিল ইরান।
কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি অস্বীকার করে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এটি একেবারেই সত্য নয়। তারা (হামলার বিষয়ে) কোনো ধারণা দেয়নি, কোনো নোটিশ দেয়নি। তারা এমন কোনো ধারণা দেয়নি যে, ‘এরা লক্ষ্যবস্তু হবে, তাদের সরিয়ে দিন’।
হামলা শুরু হওয়ার পরেই তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
কী ছিল সেই বার্তায় সে বিষয়ে এই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, সুইসদের মাধ্যমে ওই বার্তা পাঠায় তেহরান। সেই বার্তায় হামলা সম্পন্ন হয়েছে বলে মূলত ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, তবে হামলা তখনও চলমান ছিল। সেসময় আমাদের কাছে এটিই ছিল (তাদের) বার্তা। ’
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েল হামলা চালায়। এতে একাধিক ইরানি সামরিক কমান্ডার নিহত হন। এর জবাবে শনিবার ইসরাইলের ভূখণ্ডে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম