স্টাফ রিপোর্টার: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মো. শানু সরকার (২৬) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ আম গাছ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি আসলে আত্মহত্যা নাকি হত্যাকান্ড তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে মানুষের মাঝে। নিহতের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গাজিরহাট পাঁচপীর কবরস্থানের পুকুর পাড়ের একটি ছোট্ট আম গাছের ডাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। শানু সরকার গাজির হাট পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. তাহের হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা বলছেন, ফজরের নামাজের পরে কয়েকজন কৃষক ধান খেতে পানি দিতে গেলে গোরস্থানের পুকুরপাড়ে আম গাছের নিচে শানুর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
শানুর চাচাতো ভাই সাদ্দাম হোসেন বলেন, নিহত শানু সরকার ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ইলেকট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতেই বিভিন্ন কাজের সাথেই জড়িত ছিলেন। শানু প্রতিদিন রাতের খাবার খেয়ে চা খাওয়া উদ্দেশ্য বাড়ির পাশে বাজারে যেতো । আজ রাতেও সে বাসা থেকে রাতের খাবার খেয়ে বাজারে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি। শানুকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।
সানু আত্মহত্যা করে থাকলে সে কোন প্রেমের সম্পর্কের জেরে করতে পারে। তবে তার ফাঁস দেওয়ার নমুনা দেখে উপস্থিত অনেকে ধারণা করছেন যে এটা আত্মহত্যা নয় এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হতে পারে।
বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। আসলে কি কারনে এই হত্যাকান্ড বা কেন এই আত্মহত্যা তা এখনো কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। কে বা কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা জানেন না স্থানীয়রা। তবে এর সঠিক রহস্য উদঘাটন করা দাবি তাদের।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে ও এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ বেরিয়ে আসবে।