পিআইডি, রংপুর
রংপুর সামাজিক বন বিভাগের আয়োজনে বৃহত্তর দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলের বনের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়নের সম্ভাব্যতা যাচাই শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ঠা জুলাই) রংপুর জেলাপ্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর সামাজিক বন বিভাগের উপ বন সংরক্ষক মোল্লা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলাপ্রশাসক বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বনাঞ্চল ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়ায় দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে অনাবৃষ্টি, খরা-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। তিনি বন সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি দখলকৃত বনভূমি উদ্ধারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মশালায় মুখ্য আলোচকের বক্তৃতায় বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকার বনের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ ভূমি বৃক্ষাচ্ছাদনের আওতায় আনার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো হচ্ছে। ইকোট্যুরিজমের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইকোট্যুরিজমের মাধ্যমে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে, অন্যদিকে স্থানীয় আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। তিনি ইকোট্যুরিজমের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
কর্মশালার শুরুতে সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ রশিদ আরিফ একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। তথ্যচিত্রে তিনি উল্লেখ করেন, একটি দেশের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন, সেখানে আমাদের রয়েছে ১৫.৫৮ শতাংশ বনভূমি। এর মধ্যে বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ১০.৭৪ শতাংশ বনভূমি। বৃহত্তর দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে বনভূমির পরিমাণ দেশের মোট বনভূমির এক শতাংশেরও কম। তথ্যচিত্রে তিনি বৃহত্তর দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলের বনায়ন কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।