আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। এ সময় ট্রাম্পের রানিং মেটের (ভাইস প্রেসিডেন্ট) নামও ঘোষণা করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় সোমবার উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সম্মেলনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সিনেটর জে ডি ভ্যান্সের নাম ঘোষণা করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভ্যান্স এক সময় ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হন তিনি।
রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন চলবে ১৮ জুলাই পর্যন্ত। প্রতি চার বছর পরপর এই সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি। এবারের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেন দলটির বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা (ডেলিগেট)।
তিনি কতটা জনপ্রিয় তার প্রমাণ মেলে ভোটাভুটিতে। প্রায় আড়াই হাজার প্রতিনিধির সবকটি ভোটই পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ১ হাজার ২১৫টি ভোটের দরকার ছিল ট্রাম্পের। নিজের ছেলে এরিক ট্রাম্প যখন ফ্লোরিডার প্রতিনিধিদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন তখনই চূড়ান্ত হয়ে যায় ট্রাম্পের প্রার্থিতা। তুমুল করতালি, হর্ষধ্বনি ও বাদ্য বাজিয়ে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান সবাই।
এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পেলেন ট্রাম্প। তিনি ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করেন। কিন্তু ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন। চলতি বছরের নভেম্বরে ট্রাম্প আবার বাইডেনের মুখোমুখি হবেন।
দুদিন আগে পেনসিলভানিয়ার বাটলার শহরে নির্বাচনী জনসভায় বন্দুকধারীর গুলি ট্রাম্পের কান ফুটো করে চলে যায়। অলৌকিকভাবে বেঁচে যান সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই হামলা নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় ফেলতে পারে ব্যাপক প্রভাব। এই নির্বাচনের গতিপথও পাল্টে দিতে পারে।
চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।