৩২
আব্দুল আউয়াল, শহর সংবাদদাতা :ঠাকুরগাঁওয়ে চারদিন থেকে বিরতিহীনভাবে ঝরছে আশ্বিনের বৃষ্টি। কখনো মুষলধারে কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে সকাল থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কর্মজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।
এদিকে বৃষ্টিভেজা সকাল থেকে ঠাকুরগাঁও প্রধান সড়কগুলোর কোথাও কোথাও দেখা গেছে যানজট। তার সঙ্গে সড়ক ও অলিগলিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাপপ্রবাহ কমলেও যানজট-জলাবদ্ধতা মিলে ঠাকুরগাঁওয়ের পথে পথে ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিরতিহীন বৃষ্টির মধ্যেই ঠাকুরগাঁও কর্মজীবী মানুষের ঢল দেখা গেছে। আর এই সুযোগে রিকশা-সিএনজিগুলোতে বাড়তি ভাড়া হাঁকাতে দেখা গেছে। জলবায়ু ঝুঁকিতে ভাবাচ্ছে অসময়ের বন্যা।
টানা বৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়র বিপর্যস্ত জনজীবন, এর মাঝেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বৃষ্টির আভাস আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী কিংবা অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়।
হাজিপাড়া,মুন্সি পাড়া,সরকার পাড়া এলাকা থেকে অফিসে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী কাদেরুল,দবির,হাসান। সাংবাদিককে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টি, বাসেই উঠতে পারছিলাম না। ঠাসাঠাসি করে খুব ভোগান্তি নিয়ে অফিসে এলাম। রাস্তায় কোথাও জলাবদ্ধতা হয়েছে আবার কোথাও যানজট, এছাড়া সঙ্গী বিরতিহীন বৃষ্টি। সব মিলে আজকের দিনটা ভোগান্তি দিয়ে শুরু হয়েছে।’
সারোয়ার আলম নামের আরেক কর্মজীবী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীরা। অটো কম, জলাবদ্ধতা, যানজট এই সুযোগে রিকশা, সিএনজিওয়ালারা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। যে রাস্তা দিয়ে এলাম পুরো রাস্তায় ছাতা মাথায় মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন।’
আর্ট গ্যালারি থেকে জেলা স্কুল হয়ে কাল বাড়ি বাজার আসা রইস অটো চালক এখলাছুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সড়কে আজ রিক্সা, অটোরিকশার সংখ্যা কম, আবার কোথাও যানজটও আছে। যেহেতু বৃষ্টির মধ্যে সবাই সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন তাই যতজনকে পেরেছি অটোরিকশা নিয়েছি।’