নবীন হাসান : ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লালাপুর কাজী বস্তির বাসিন্দা মাসুদ রানা, একজন ইটভাটা শ্রমিক, বর্তমানে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন। গত তিন বছর ধরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাসুদের মেরুদণ্ডের স্পাইনগুলো একত্রে ফিউজ হয়ে যাচ্ছে, যার কারণে তার জরুরি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে এই অপারেশনের খরচ, যা প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা, বহন করতে পারছেন না মাসুদ।
মাত্র ৬ বছর বয়সে পিতা এবং দুই বছর পর মাতাকে হারানো মাসুদ রানার জীবনের সংগ্রাম ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়। এতিম অবস্থায় বাবার বাড়িতে চলে গিয়ে তিনি শৈশব পার করেন। পরবর্তীতে শ্রমিক হিসেবে ইটভাটায় কাজ শুরু করলেও, গত তিন বছর ধরে অসুস্থতার কারণে কোনো কাজ করতে পারছেন না তিনি। এর ফলে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে।
মাসুদের স্ত্রী জান্নাতুন ফেরদৌস জানিয়েছেন, স্বামীর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে তিনি নিজের একটি কিডনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, মাসুদের শরীরের একটি কিডনিও নষ্ট হওয়ার পথে। জান্নাতুন বলেন, “আমার স্বামী বেঁচে থাকলে আমাদের সন্তানেরা পিতার ভালোবাসা পাবে। আমি তার জন্য যা করতে পারি, তা হলো আমার কিডনি বিক্রি করা।” তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিবারটি খাদ্য সংকটেও ভুগছে এবং মাসুদ যেখানে তার পরিবারের জন্য খাবারও জোগাড় করতে পারছেন না, সেখানে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করা তাদের পক্ষে অসম্ভব।
মাসুদ রানা তার দুই সন্তানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি বাঁচতে চাই আমার সন্তানদের জন্য। আমি এতিম ছিলাম, কিন্তু আমার সন্তানদের যেন এতিম হয়ে বেঁচে থাকতে না হয়।” তিনি দেশের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। পাঁচ লক্ষ টাকায় যদি তার অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়, তবে তার জীবন বাঁচানো যেতে পারে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে একজন অসহায় ব্যক্তিকে সাহায্য করার মাধ্যমে আমরা তার পরিবারকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাত থেকে রক্ষা করতে পারি।
এলাকার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাসুদ একজন পরিশ্রমী এবং সৎ মানুষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। তারা বলেন, “মাসুদের মতো সংগ্রামী একজন মানুষকে এমন অসহায় অবস্থায় দেখতে আমরা খুবই দুঃখিত। আমরা তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু এত বড় অঙ্কের টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরা দেশবাসীর সাহায্য কামনা করছি।”
সাহায্যের আবেদন
মাসুদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা পাঠাতে যোগাযোগ:
মাসুদ রানা: 01721915153 (বিকাশ ও নগদ)