বিশেষ প্রতিনিধি পঞ্চগড়
পঞ্চগড় শিক্ষা নির্বাহী প্রর্কৌশলীর আবু তাহেরর বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ উঠেছে। নামে বেনামে সম্পত্তি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া আবু তাহের রংপুর মহানগরী মুন্সিপাড়ায় মাদ্রাসা রোডে সাত কোটি মূল্যের জমি ক্রয় করেন স্ত্রীর নামে, তাতে বহুতল ভবনের ফাউন্ডেশন পাঁচতলার কাজ সম্পন্ন করেন। শালবন মৌজায় ২ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রয় করে সেখানে দ্বিতল ভবন নির্মাণ, গ্রামের বাড়ির এলাকায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬২ বিঘা জমি ক্রয়, ডোমার কলেজ রোড এলাকাও রয়েছে তার দুটি বাড়ি। এবং ডোমার শহরে প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে আরো সাড়ে ৬ শতক জমি যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা। রয়েছে নিজের একটি বিলাশ বহুল গাড়ি ঢাকা মেট্রো (গ ৪৩-৯১০৩) লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সন্তান কে বেসরকারি মেডিকেল এ পড়িয়ে বানিয়েছেন চিকিৎসক ,এই নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্য ও পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া কাজ না করেই বিল দেয়া সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ক্ষমতার অপব্যবহার, সহ অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট জানান পঞ্চগড় শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের ২০২৩ সালের ৬ জুন কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে না না অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। ২০সেপ্টেম্বর ২০২৪ দৈনিক জাতীয় পত্রিকা বনিক বার্তায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয় কাজ শুরুর আগেই ৯৫ শতাংশ বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভবন সংস্কার ও সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণের জন্য ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। ১৩ই আগস্ট নির্মাণ কাজের সময় শেষ হয়েছে। তবে এখনো শুরু হয়নি গ্যারেজ নির্মাণ। এরই মধ্যে ৯৫% বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। ৪ অক্টোবর ২০২৪ দৈনিক বনিক বার্তা প্রকাশিত শিরোনাম পঞ্চগড়ে মাটির বদলে সড়কে বালি ভরাট পঞ্চগড় শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কার্যালয়ের সামনে মাটি ভরাটের জন্য চলিত বছর দরপত্র আহবান করা হয় ১৬ লাখ হাজার ৫৭৫ টাকা কাজটি পায় এসএস এন্টারপ্রাইজ। কার্যাদেশে মাটি উল্লেখ থাকলেও সড়কটি ভরাট করা হয়েছে হয়েছে বালি দিয়ে।গত জুনে শুরু হওয়া মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। তবে এখনো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে ৭৫% বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। ৬ অক্টোবর ২০২৪ অনলাইন পোর্টাল দৈনিক ঝড় প্রকাশিত শিরোনাম পঞ্চগড় শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর যেন অনিয়মের আয়নঘর। পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নিজস্ব অফিস কার্যালয়ে ভবন নির্মাণে সেখানে স্টিল শার্টার এর ধরা হয়েছে। সেখানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাস ও কাঠের শাটারিং দিয়েছে। আবার বিল দেয়ার সময় স্টিল শাটারিং এর বিল দেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী টাকা ছাড়া আর কিছু চেনে না। পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দশতলা ভবন নির্মাণ কাজটি সরকারি রেট আমাকে হান্নান শেখ ও আবু তোয়াবুর রহমান ও প্রমিলকে দিয়ে দেয়া হয় আমরা যখন শিডিউল ড্রপ করি আমাদের সবার রেট এক। ঠিকাদার প্রমিল প্রকৌশলী আবু তাহের কে ১৫% দিয়ে ১৩ কোটির কাজটি হাতিয়ে নেয়। শুধু একটি কাজে প্রকৌশলী আবু তাহের দেড় কোটি টাকা ঘুষ নেন। এছাড়া ২০২৩/ ২৪ ও ২০২৪ /২৫ অর্থ বছরে পঞ্চগড় জেলার ১ আসনের অধীনে ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে আসবাবপত্র প্রস্তুত ও সরবরাহ কাজে তার পছন্দের ঠিকাদার মেসার্স নন্দিতা কনস্ট্রাকশন ও মেসাস মুস্কান ট্রেডার্স ১৬ টি কাজের মধ্যে ১১ টি কাজ এই দুইজন ব্যক্তিকে দিয়ে দেন আবু তাহের। এছাড়া অফিসের আসবাবপত্র ও অন্যান্য উপকরণ ক্রয়ের ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন।এই শিক্ষা প্রকৌশলীর দুর্নীতির একাধিক নিউজ প্রকাশ পেলেও পেয়েছেন তিনি পদোন্নতি। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ দৈনিক শিক্ষা ডটকম প্রকাশিত নিউজে দেখা জায় প্রকৌশলীর দুর্নীতি সত্যতা পেলেও শুধু বদলি করেই ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর সার্কেলের নীলফামারী কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে কাজ না করেই প্রায় ১০ কোটি টাকার বিল প্রদান এবং নিজের দুই ভাইকে দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ করিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে পুরো ঘটনা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পাওয়ার প্রতিবেদন দাখিল করার পর দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আবু তাহের কে অন্যত্র বদলির আদেশ দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. রাহেদ হোসেনকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি রংপুরে এসে পুরো ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তদের জবানবন্দি গ্রহণ করে। তদন্ত কমিটি সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে কাজ না করে কোটি কোটি টাকা বিল প্রদান করার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়। নীলফামারীর সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের কে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে অনত্র বদলি করা হয়েছে।এ ব্যাপারে রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেনহাজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিসহ চারজন প্রকৌশলীকে রংপুর সার্কেল থেকে অনত্র বদলি করার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের রংপুর সার্কেলের অধীনে দিনাজপুর জোনের আওতাধীন নীলফামারী জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের ২০২১ অর্থবছরে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান ও সংস্কারসহ বিভিন্ন কাজের দরপত্র আহবানের পর কার্যাদেশ দেওয়ার ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ সম্পন্ন দেখিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার অগ্রিম বিল প্রদান করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয় সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের তার স্বজন ও সিন্ডিকেট তৈরী করে নিজেই অনেক কাজ বেনামে করে বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহেরের দুই সহোদর কালাম ও আলমকে দিয়ে ঠিকাদারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে কাজ কিনে নিয়ে তারাই ঠিকাদারি করছেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন কাজের কার্যাদেশের আগের তারিখ দিয়ে কাজের অগ্রগতি দেখিয়ে বিল প্রদানের নজীরবিহীন অনিয়মও করছেন তারা।
যেসব কাজ না করেও অগ্রিম বিল প্রদান করেছে সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র ও তার বিরুদ্ধে জমা দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের রেজিস্ট্রার ও প্রোগ্রেস রিপোর্ট পরীক্ষা করলেই পাওয়া যাবে সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের এবং তার ভাইয়েরা কাজ না করে প্রায় ১০ কোটি টাকা অগ্রীম বিল উত্তোলন করেছেন। প্রমাণস্বরূপ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে এ বছরের ২৪ জুন কিন্তু প্রোগ্রেস রিপোর্টে ৩০ জুন পর্যন্ত এ কাজটির অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৪৫ ভাগ। অর্থাৎ কার্যাদেশের মাত্র ৫ দিনের মধ্যে প্রোগ্রেস ৪৫ ভাগ দেখিয়ে ওই কাজটিতে ৬৫ লাখ টাকা বিল দেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবাস্তব। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মেসার্স কারিব এন্টারপ্রাইজের নামে এ কাজটি করছেন সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের নিজেই। তিনি বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ কিনে নেন। একইভাবে জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের কার্যাদেশ দেয়া হয় ২৭ জুন ২০২১ তারিখে। এই ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দুই দিনের ব্যবধানে ২৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ৩০ জুন ৩১ লাখ টাকা বিল প্রদান করা হয়।
একইভাবে ২০১৯-২০ সালের এক্সটেনশন অব নন গভর্নমেন্ট বিল্ডিং প্রকল্পের আওতায় ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের কার্যাদেশে সেখানকার বিল্ডিংয়ের পুরাতন ছাদ ভেঙে নতুন ছাদ নির্মাণের মাধ্যমে উর্ধমুখী সম্প্রসারণ করার কথা বলা হলেও ছাদ না ভেঙেই পুরাতন ভবনের ওপরে ঊর্ধমুখী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সেটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এই কাজটিও সহকারী প্রকৌশলী আবু তাদের সিন্ডিকেট করেছেন এবং দরপত্র মূল্যের ৭১ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করেছেন। কাজটির মূল ঠিকাদার আবীর এন্টারপ্রাইজ।
জলঢাকার চেরেঙ্গা ঝারপাড়া নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাজটির কার্যাদেশ দেয়া হয় ১০ মে ২০২০ তারিখে। কিন্তু সেটি দীর্ঘদিনেও কাজ হয়নি। কিন্তু চলতি বছরের ১ জুন থেকে ৩০ জুনের মধ্যে হঠাৎ করেই ২০ ভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ৩২ লাখ টাকা বিল প্রদান করেছেন সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের।
একই প্রকল্পের অধীনে সদর উপজেলার ফকিরগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার ভবন নির্মাণকাজের কার্যাদেশ দেয়া হয় এ বছরের ১০ জুন। কিন্তু কার্যাদেশের ১০ দিন আগে দেখানো হয়ছে কাজ শুরু। ১ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত ২৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে মেসার্স তোতা এন্টারপ্রাইজের নামে ১৯ লাখ ৯৭ হাজার বিল দেন আবু তাহের। এই কাজটিও আবু তাহের নিজ সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালনা করছেন, ওই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স তোতা এন্টারপ্রাইজ।
যে ১৯টি কাজ ঠিকাদারদের কাছ থেকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সামান্য লাভ দিয়ে ক্রয় করে সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের ও তার ভাই আলম, কালাম ও আত্মীয় স্বজনরা করছেন, সেগুলো হলো তিন হাজার স্কুল প্রকল্পের আওতাধীন সাতপাই উচ্চবিদ্যালয়, সৈয়দপুর, তিন হাজার স্কুল প্রকল্পের আওতায় ডোমার মহিলা কলেজ, ডোমার, আইসিটি কলেজ নীলফামারী মডেল কলেজ (সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামে প্রক্রিয়াধীন), আইসিটি কলেজ প্রকল্পের আওতায় জটুয়াখাতা উচ্চবিদ্যালয়, ডিমলা, কিশোরীগঞ্জ মডেল উচ্চবিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ, সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতাধীন উত্তর ভোগডাবুড়ি উচ্চবিদ্যালয়, ডোমার, ৭০১৬ মাগুড়া কলেজ, কিশোরগঞ্জ,চ্যারেংগা ঝাড়বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, জলঢাকা, ৭০১৬ দুবাছড়ি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ৭০১৬ প্রকল্পের আওতায় চিলাহাটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ডোমার নীলফামারী মহিলা কলেজ, নীলফামারী সরকারি কলেজ (কলেজ ফান্ড), চিলাহাটি সরকারি কলেজ ও ডোমার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
বিল পরিশোধেও তাহের সিন্ডিকেট বেপরোয়া। বিল পরিশোধের বিষয় আসলেই আবু তাহের ও তার ভাই এবং আত্মীয়-স্বজনরা যে কাজ করেছেন, সেই বিলগুলো আগে পরিশোধ করা হয়। তার পর অন্যান্য ঠিকাদারদের আনুপাতিক হারে বিল ভাগ করে দেয়া হয়। ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ এই দুই অর্থবছরের নীলফামারী জেলার শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরে প্রাপ্ত বরাদ্দ ও ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের রেজিস্ট্রার এবং সরেজমিন তদন্ত করলেই এই অনিয়মের পুরো বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলেও অভিযোগে বলা হয়।
এদিকে সার্বিক বিষয়ে জানতে
প্রকৌশলী আবু তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ১৯৯৬ সাল থেকে সততা এবং সুনামের সঙ্গে চাকরি করে আসছি। এতদিনের পেশাগত জীবনে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা বদনামের ঘটনা নেই। কিন্তু সম্প্রতি একটি অসৎ চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার পদোন্নতি বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। নিজের ভাইয়ের কাজের বিষয় বলেন সরকারের স্বার্থে এবং জনকল্যাণে ঠিকাদারদের ফেলে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজগুলো আমি নিজের উদ্যোগে সম্পন্ন করেছি। এ কাজগুলো সম্পূর্ণ বিনালাভে, ভাইদের দিয়ে করিয়েছি,এটা কি আমি অপরাধ করেছি। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত হয়েছে, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও তদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রংপুর ও ডোমারের সম্পত্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার শ্বশুরের আন্তরিক সহযোগিতা ও লোনের সহায়তায় আমি এই সম্পত্তিগুলো অর্জন করেছি।
তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বলে দাবি করেন।